পাথরপ্রতিমা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পাথরপ্রতিমার জনসভা থেকে বৃহস্পতিবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাাধ্যায় আমফান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ত্রাণের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে এদিন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত জেলার মানুষদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছিল। পাশাপাশি ছিল বিপর্যয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই জেলায় আসা ও কিছু না দিয়ে শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা থেকে বলেছেন, “দুর্গত মানুষের সাহায্যে কার্পণ্য করেনি তৃণমূল। আমফানের পরে ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। এটা কার টাকা ? মাছের তেলে মাছ ভাজা। এক টাকাও দেয়নি।”

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আমফানের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ত্রাণ নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সেটা ঘুরিয়ে হলেও মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এত বড় দুর্যোগে একটা-দুটো ভুল তো হতেই পারে। আমফানের পর রাজ্য ৭০০০ কোটি টাকা দিয়েছে। ২১ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য ২০০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য।”

কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে বার বার তৃণপমূল সরকারকে “চোর” অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগের জবাব দিয়ে বলেন, “আমাদের চোর বলছে। পিএম কেয়ার্সের নামে টাকা তুললেও কেউ টাকা পায়নি। কয়লা খনি বিক্রির টাকা কোথায়? রেল বিক্রির টাকা কোথায়? ব্যাঙ্ক বিক্রির টাকা কোথায়?”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাথরপ্রতিমার সভা থেকে সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসেফকে নিশানা করে বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেস মানেই বিজেপি। যে সংখ্যালঘু বলছে সে বিজেপির থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছে। কেউ টাকা দিলে বলবেন এতো আমার ট্যাক্সের টাকা। বলবেন খরচের টাকা দাও, তোমায় খরচা করে দেব।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা থেকে বলেন, “আমার তো একটা পায়ে চোট। মা-বোনেরা দুটো পা দিয়ে আমাকে এগিয়ে দেবে। ভাঙা পায়েই যা খেলব না, বিজেপিকে বোল্ড আউট করে দেব।”

এদিন আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট চাওয়ার প্রসঙ্গে নরম হয়ে কথা বলে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “‘অন্যায় করলে থাপ্পড় দেবেন। এই নির্বাচন দিল্লির নয় বাংলা। বাংলায় যে উত্তরপ্রদেশের লোকেরা থাকে, তাঁদের বহিরাগত বলি না। বিজেপি বাইরে থেকে গুন্ডা আনাচ্ছে।” পড়ুয়াদের প্রসঙ্গ উল্লেখ কোটরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “এবার পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করে দেওয়া হবে । পড়াশোনার খরচের জন্য ক্রেডিট কার্ড থেকেই খরচা করবে ;পড়ুয়ারা । বিদেশে পড়াশানো করে বাংলায় ফিরে আসবে পড়ুয়ারা।ক্ষুদ্র শিল্পে আরও ১ কোটি ৩২ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। বছরে দুবার করে চারমাস দুয়ারে সরকার হবে।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।