নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপজ্জনক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই। দেশের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কথায় মাথায় রেখে বড়সড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত করোনার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’-এর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। দেশে আপাতত দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। একটি অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’। এছাড়াও ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর তৈরি কোভ্যাকসিনও দেওয়া হচ্ছে দেশজুড়ে। তবে দেশের একাধিক রাজ্যে সংক্রমণ ফের বিপজ্জনক আকার নিতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সতর্ক না হলে আরও ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করে রয়েছে সবার জন্য।
হোলির আগে ফের লাগামছাড়া সংক্রমণ গোটা দেশে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৩ হাজার ৪৭৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫১ জনের। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৩৪ জন। দেশে করোনা অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৯২। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৯২ জন।
দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ চলছে। সংক্রমণ কমাতে টিকাকরণে আরও বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য করোনা টিকার জোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম টিকা পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। দেশে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায়রেখে তাই তাই আপাতত কোভিশিল্ড-এর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ ঊর্ধ্বদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যেই দেশে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি দেশে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়। টিকাকরণের প্রথম পর্বে ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে টিকা দেওয়া হয়। টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছেরর উপরে কোমর্বিডিটি থাকা নাগরিকদের টিকা দেওয়া হয়। এবার ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.