বিতর্কে ঘৃতাহুতি
বিজেপি বোলপুর থেকে প্রার্থী করেছে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেই অনির্বাণবাবুর সঙ্গেই বিদেশের এক রেস্তঁরায় বসে আছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এহেন একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এরপর শুরু হয় জোর রাজনৈতিক তরজা। উল্লেখ্য, গত একবছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সময়ে বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে রাজ্যে রাজনৈতিক পারদ চড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতার সঙ্গে উপাচার্যের সখ্যতা সেই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
প্রচারের মূলে বিশ্বভারতী
বিধানসভা নির্বাচনের মাঝে বোলপুরের অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা-সংস্কৃতির পীঠস্থান বিশ্বভারতী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের এই বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল রাজনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত। বোলপুরে ভোট প্রচারের মূলে রয়েছে পৌষমেলা প্রাঙ্গন খোলা, উৎসব চালু হওয়ার মতো ইস্যু।
ভাইরাল বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে উপাচার্যের ছবি
এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুৎবাবুর তোলা একটি ছবি। আর এই 'অস্ত্র' হাতে পেয়েই ফের সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দুই দিন আগেই বোলপুরে এক জনসভা করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিজেপি-র সঙ্গে উপাচার্যের দহরম-মহরম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তৃণমূল প্রার্থীর পাল্টা তোপ
উপাচার্যের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে এমনিতেই অসন্তোষ রয়েছে বোলপুরের একাংশের মধ্যে। এই আবহে বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চন্দ্রনাথ সিংহের দাবি, 'অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় উপাচার্যের বন্ধু। বিশ্বভারতীতে ওঁর নিযুক্তির পিছনেও তাঁর হাত ছিল। অনির্বাণ জিতলে বসন্ত উৎসব, পৌষমেলা, সব কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে।'
কী বলছেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়?
এদিকে যাঁর ছবি ঘিরে এই বিতর্কের সূত্রপাত, সেই বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, 'ছবিটি পুরনো। আমার সঙ্গে বিদেশে দেখা করতে চেয়েছিলেন উপাচার্য। তখন এই ছবিটি তোলা হয়। তাছাড়া স্বপন দত্ত উপাচার্য থাকাকালীন বিশ্বভারতীর এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য ছিলাম আমি। উনিও আমার বন্ধু। বিদ্যুৎবাবুও আমার বন্ধু।'