ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ইউনিসেফ
আর্থিকভাবে তলানিতে থাকা বিশ্বের ৬৪টি দেশকে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের গুরুদায়িত্ব রয়েছে এসআইআইয়ের উপর। এমতাবস্থায় মোদি সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে তড়িঘড়ি ভারতের সাথে আলোচনায় বসতে চাইছে ইউনিসেফ। পাশাপাশি ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, রপ্তানিকৃত এসআইআইয়ের ভ্যাকসিনের ৬.০৫ লক্ষ ডোজের মধ্যে ১.৭৭ লক্ষ ডোজ পেয়েছে কোভ্যাক্স। যদিও রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে এখনই সরাসরি মুখ খুলতে চায়নি কোনোপক্ষই।
করোনার বাড়বাড়ন্তে টিকা সরবরাহে দেরি
ইতিমধ্যেই ব্রাজিল, ব্রিটেন, মরক্কো ও সৌদি আরবে ভ্যাকসিন ডোজ পাঠানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব করেছে এসআইআই। আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর অনুসারে, চুক্তি অনুসারে এসআইআইয়ের থেকে প্রায় ১১০ কোটি অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও নভোভ্যাক্স ডোজ কেনার কথা রয়েছে কোভ্যাক্সের। সম্প্রতি ভিয়েতনামে হু-এর তরফে জানান হয়েছে সরবরাহে ঘাটতির কথা। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ায় ডোজের অপ্রতুলতার কারণে যে ভ্যাকসিন সরবরাহে টান রয়েছে, সে সম্পর্কে সকল দেশকে অবগত করছে হু।
এপ্রিল-মে মাসে চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এসআইআই
ভ্যাকসিনের মারাত্মক চাহিদার জেরে উৎপাদন বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে এসআইআই। পাশাপাশি আগামী এপ্রিল-মে মাসে অন্যান্য দেশে চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে ভারতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থা। অন্যদিকে ৪৫ বছরের উর্দ্ধের সকল ভারতীয়ের টিকাকরণ শুরু হবে আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে। স্বাভাবিকভাবেই দেশে টিকাকরণের চাহিদাই যে আগে পূরণ করবে পুনের এসআইআই, তা বলাই বাহুল্য।
ভারতে করোনার কবলে ১.১৭ কোটি নাগরিক
বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ১.১৭ কোটির মাত্রা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের অঙ্ক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব বলছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে ৫.২ কোটি ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে, যার মধ্যে ৪.৭ কোটি ডোজ এসআইআই কর্তৃক উৎপাদিত অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনের আঞ্চলিক সংস্করণ। বাকি ডোজ প্ৰস্তুত করেছে ভারত বায়োটেক। ইতিমধ্যে এসআইআইয়ের থেকে ১৪.১ কোটি ডোজ চেয়েছে কেন্দ্র। অন্যদিকে এপ্রিল-মে মাস থেকে মাসিক ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে এসআইআই, খবর সূত্রের।