বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে নজরকারা জেলা পূর্ব মেদিনীপুর৷ সেই জেলার মধ্যেই পড়ছে চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্র৷ এবার এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী৷ সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী (বামফ্রন্ট) হলেন আশীষ গুছাইত৷ বিজেপির প্রার্থীর নাম পুলককান্তি গুড়িয়া৷ চণ্ডীপুরে আগামী ১ এপ্রিল অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় ভোট।
২০১৬ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৫,৯৮২ হাজার৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী মঙ্গল চন্দ্র প্রধান৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৬,৩২৮ হাজার৷ তৃতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী পীযুষ দাস৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০,১৬০ হাজার৷ তবে এবার এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই৷ কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে এতদিন পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্বে থাকতেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ওই জেলা তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। কিন্তু সেই শুভেন্দু এখন বিজেপি শিবিরে। এদিকে, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ময়দানে তাঁর প্রতিপক্ষ হচ্ছেন শুভেন্দু৷ নন্দীগ্রাম তো বটেই, গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথা সারা বাংলা প্রস্তুত হচ্ছে মমতা-শুভেন্দুর লড়াই দেখতে৷
উল্লেখ্য, চন্ডীপুর তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত৷ ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রটি ঘাসফুলের দখলেই এসেছে৷ সেখানেও শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭,২৪,৪৩৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫,৩৪,২৬৮৷ তৃতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী শেখ ইব্রাহিম আলি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১,৩৬,১২৯৷
প্রসঙ্গত, এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে বড়জোড়ায় চলচ্চিত্র তারকা সোহম চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তিনি এলাকায় কয়েক মাস থেকে প্রচার চালালেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হারেন। এবার চন্ডীপুরে তাঁকে প্রার্থী করেছে দল৷ তবে ভোটের আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সোহম৷ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন সোহম। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন। ২০১৬ সালে জিততে না পারলেও রাজনীতির ময়দান ছাড়েননি এই অভিনেতা৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.