কলকাতা: বাঙালির দুপুরের পাতে একটা মাছ না হলে কি হয়? ভারতের নানা প্রান্তে মাছের নানা পদ রান্না করা হলেও বেশিরভাগ বিদেশীরাই কিন্তু বাঙালিদের হাতের বানানো মাছের ঝোল, ইলিশ পাতুরি, চিংড়ি মালাইকারি খেয়েই আঙ্গুল চাটতে থাকে। মাছের ক’টা পদ আমরা জানি? মা-দিদিমাদের রান্নার ডায়েরি খুললে একের পর এক চমক বেরোবে। সেই জ্ঞানের ভান্ডারের কাছে আপনার জ্ঞান তখন তুচ্ছ মনে হবে।
আজকের এই বিশেষ পদটি কিন্তু আবার সরু চালের ভাত আর মুগ ডালের সঙ্গেই মানাবে। যে কোনো বিশেষ দিনে বাড়িতে অতিথিদের বা বাড়ির সদস্যদের যে কোনো দিন চমকে দিতে হাজির করা হলো দুপুরের বিশেষ লাঞ্চ রেসিপি “কাজু ও সর্ষেবাটা দিয়ে রুই”।
কী কী লাগবে: চারটে রুই মাছের দাগা, একটা টমেটো, ধনে পাতা, সর্ষের তেল, সর্ষেগুঁড়ো দুই চা চামচ, এক টেবিল চামচ কাজু, কালো জিরে অর্ধেক চা চামচ, হাফ কাপ দই, কাঁচা লঙ্কা, পরিমাণ মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো।
আরো পোস্ট- দুধের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খান! উপকার পাবেনই
প্রণালী: চার টুকরো মাছ ধুয়ে ভাল করে তেল ও হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। এতে অল্প নুন দিতে পারেন। এরপর যেভাবে মাছ ভাজেন সেইভাবে ভেজে নেবেন ভালো করে মাছের টুকরোগুলি। অন্যদিকে, দুই চা চামচ সাদা বা কালো সর্ষেগুঁড়ো নিয়ে তাতে সামান্য নুন মিশিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট মতো। এবার মিক্সার গ্রাইন্ডারে টমেটো, ধনে পাতা ও দুটো কাঁচা লঙ্কার সাথে ভিজিয়ে রাখা সর্ষেগুঁড়ো দিয়ে একবার ভালো করে পেস্ট করে নেবেন।
হলুদ এতে দিতে হবে না। কাজুগুলিও গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে তার সঙ্গে হল মিশিয়ে কাদার মতো থকথকে একটা মিশ্রণ বানাতে হবে। দইয়ে সামান্য নুন দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন।
কড়াইয়ে দুই টেবিল চামচ সর্ষের তেল দিয়ে তেল মাঝারি গরম হলে তার মধ্য়ে কালো জিরে ফোঁড়ন দিন। একটি কাঁচা লঙ্কা চিরে দিয়ে দেবেন। এরপর গরম হওয়া তেলে টমেটো, ধনে পাতা ও সর্ষে বাটা দিয়ে দিন। ভাল করে নাড়তে থাকুন এটিকে। তেল গরম হওয়ার পরেই ওভেনের আঁচ কমিয়ে দেবেন। কড়াই ঢেকে ৪ মিনিট। এরপর ওই মশলা থেকে তেল বেরিয়ে আসলে ফেটিয়ে রাখা দইয়ের একের চার অংশ ওই মশলার মধ্যে মিশিয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন।
মাছগুলি দিয়ে দিন ওই মশলায়। তারপর একটু নেড়ে নিয়ে কাজু বাটা মাছের উপরে দিয়ে দিন ঢেলে। আরও ৮ মিনিট নাড়ুন। মাছগুলি উল্টে পাল্টে নাড়বেন। নামানোর আগে অবশিষ্ট দই ও বাকি লঙ্কা দিয়ে দিতে পারেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.