কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়েতে ভোট দিতে আহ্বান
এদিন পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে অমিত শাহ ভোটারদের কাছে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে বিজেপিকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পাশাপাশি তার আগেকার বাম সরকারের বিরুদ্ধে শিল্পোন্নয়নে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, বামেরা রাজ্যে শিল্প আনতে পারেনি। আর দিদি শিল্পকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে দিদিই হোক কিংবা বাম, তারা কেউই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারেনি, মন্তব্য করেছেন তিনি। তাই যদি কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে চান তাহলে এনডিএ-কে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্কিম আর স্ক্যামের তুলনা
অমিত শাহ বলেছেন. যদি বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজন কাজ পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এবার পছন্দ করতে হবে সাধারণ মানুষকে। তাঁরা যদি প্রকল্প চান তাহলে নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেবেন আর যদি স্ক্যাম চান তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রের স্কিম আর রাজ্যে স্ক্যামের তুলনা দিয়ে যাচ্ছেন। এব্যাপারে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের ১১৫ টি প্রকল্পের কথা উল্লেথ করেছেন।
রাজ্যের অর্থনীতির তুলনা
নিজের প্রচারে অমিত শাহ বারবার রাজ্যের অর্থনীতি খারাপ বলে অভিযোগ করছেন। যা বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে খারাপ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যের অবস্থা জাতীয় গড়ের থেকে ভাল। রাজনীতির গবেষকরা বলে থাকেন, অর্থনীতি ভোটদাতাদের মনে একটা বড় প্রভাব ফেলে। পরিসংখ্যান মন্ত্রক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-২৩ থেকে ২০১৭-১৮-এর মধ্যে রাজ্যের আয় জাতীয় আয়ের থেকে কম ছিল। যেখানে রাজ্যের আয় ছিল ৫.৫%, সেখানে জাতীয় আয় ছিল ৭.১%।
অমিত শাহের সূচিতে চার সভা
এদিন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সূচিতে ছিল চার সভা। পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি দিয়ে শুরু। এরপর ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর এবং শেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সভা দিয়ে অমিত শাহের এদিনের কর্মসূচি শেষ হয়। এদিন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির সভা থেকে নাগরিকত্ব আইন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং রাজ্যে কর্মহীনতার কথা তুলে ধরেন।