সাগর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগর বিধানসভার গঙ্গাসাগর মেলার মাঠের জনসভা থেকে বিভিন্ন প্রকল্প উল্লেখ করে ও করেই বিষয়ে কেন্দ্র, রাজ্য তুলনা টেনে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সভায় তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও সাফল্য তুলে ধরে বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিম। সাগরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “কন্যাশ্রী কে দিয়েছে? স্বাস্থ্যসাথী কে দিয়েছে? রূপশ্রী কে দিয়েছে? ওরা বলেছিলো ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্কে দেবে, কেউ পেয়েছেন?” সভাস্থল থেকে উত্তর আসে না ১৫ লক্ষ টাকা পাইনি। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার প্রশ্ন করেন, “কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন?” আবার জনতার উত্তর, হ্যাঁ, পেয়েছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সভা থেকে আবার অমিত শাহকে “হোঁদলকুতকুত”, বলে আক্রমণ করে বলেন, “আমরা দেব রেশন, ওরা দেবে ভাষণ। আমি যা বলেছি করেছি। ওরা ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলেছিলো, দিয়েছে? একজন বলেছিল, আমি তোমাদের চৌকিদার। আমফানের পর একবার এসে চৌকিদার পালিয়েছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন, মানুষের পাশে তৃণমূল সরকারই পাহারাদারের মতো রয়েছে। এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, “সাগরে আমি হাসপাতাল বানিয়ে দেব।” বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন মূলক প্রকল্পগুলির কথা সকলের সামনে তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় এলে আপনাদের বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের ৪% সুদে ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। ছেলে, মেয়েরা বাইরে পড়তে যেতে পারবে। আবার রাজ্যে ফিরে এসে কাজ করবে।”
পাথরপ্রতিমা ও সাগর, উভয় সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরীরী ভাষায় ছিল আত্মবিশ্বাসের স্পষ্ট ছবি । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ভরা মাঠেও যদি ভোটের ফল না বুঝি, তাহলে রাজনীতি করা বৃথা।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথায় বুঝিয়ে দেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপিকে তৃণমূল রুখে দেবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সবকটি আসন তৃণমূলের ঘরেই আসবে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ঘোষণার পর প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এলেন। আর প্রথমদিন এসেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.