৪ এপ্রিলের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ৩ লক্ষ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, সংক্রমণের ঝোড়ো ব্যাটিং এভাবে চলতে থাকলে ৪ঠা এপ্রিলের মধ্যে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ছোঁবে ৩ লক্ষের মাত্রা। বর্তমানে পুনেয় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ (প্রায় ৬১,১২৫ জন)। পাশাপাশি নাগপুর ও থানেয় স্বাস্থ্যপরিকাঠামো উন্নত না করলে যে ভুগতে হবে মহারাষ্ট্রকে, সে সতর্কবার্তাও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, বর্তমানে ১% সাপ্তাহিক বৃদ্ধির তথ্যানুসারে এহেন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন গবেষকরা।
আগামী দু'সপ্তাহে মৃত্যু হবে ১০০০ জনের!
মহারাষ্ট্রে প্রায় ২৮,২৪,৩৮২ জন আক্রান্ত হলে মৃত্যুসংখ্যা দাঁড়াবে ৬৪,৬১৩ জনে, ২.২৭% মৃত্যুহারের হিসেবে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব জানাচ্ছে এমনটাই। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, আগামী দু'সপ্তাহে কোভিডের বলি হবেন প্রায় ১০,০০০ মহারাষ্ট্রবাসী। দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা ছোঁবে ১ হাজারের গণ্ডি। অন্যদিকে মারণব্যাধির তান্ডব শুরুর পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা দেখল মহারাষ্ট্র (৩১,৮৫৫ জন)। নতুন করে ৯৫ জন মারা যাওয়ায় মহারাষ্ট্রে মোট মৃত্যুসংখ্যা বর্তমানে ৫৩,৬৮৪ জন, খবর স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্য স্বাস্থ্যসচিবের সতর্কবার্তা
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেনহীন শয্যা, আইসিইউ শয্যা ও ভেন্টিলেটর রয়েছে। যদিও মহারাষ্ট্রের মুখ্য স্বাস্থ্যসচিব ডাঃ প্রদীপ ভ্যাসের বক্তব্য, "রাজ্যে এখনও প্রায় ৪,০০০ অক্সিজেনযুক্ত শয্যার দরকার। পাশাপাশি আগামী ক'দিনে ১,০০০টি অতিরিক্ত শয্যা না পেলে ভয়াবহ হবে পরিস্থিতি।" যদিও আধিকারিকদের মতে, গত ৩-৪ দিনে যেভাবে এক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে, তাতে জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্যকাঠামোর বৃহৎ উন্নতি না করলে ঘটে যাবে বড়সড় বিপত্তি।
চারঘন্টা অন্তর সকল রোগীর পরীক্ষা
অন্যদিকে কোভিড হাসপাতাল সহ সরকারি কোভিড কেন্দ্রগুলিতে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের যথাসত্ত্বর ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ডাঃ প্রদীপ ভ্যাস। পাশাপাশি আগামী ৪দিনে প্রায় প্রায় ৩,০০০ শয্যার ব্যবস্থা করার খবর জানালেন থানের কর সংগ্রাহক অফিসার রাজেশ নার্ভেকর। তাছাড়া গত দু'দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আরও শ'খানেক অতিরিক্ত শয্যা যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কমিশনার রাধাকৃষ্ণন বি।