কলকাতা: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জি ছবি ‘অনুসন্ধান’ এর ট্রেলার। রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এই ট্রেলার শেয়ার করে ছিলেন আরেক পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। প্রশংসা যেমন আসছিল তেমনই কিছু মানুষ ক্রমাগত কমেন্ট করে বলতে থাকেন এই ছবি আসলে ‘চেহেরে’র রিমেক। এই ছবি অন্য কোন ছবি থেকে কপি করা হয়েছে।

কিছু মানুষ আবার তাদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বললেন, ‘চেহেরে’র ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে কদিন আগে। এত অল্প সময়ের মধ্যেই কি করে একটা ছবির সম্পূর্ণ রিমেক করা যেতে পারে? তাও আবার এত তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীকে একত্রিত করে? অনুসন্ধান ছবিতে অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা সরকার পায়েল সরকার,চূর্ণী গাঙ্গুলী, জয়দীপ মুখার্জি, ঋদ্ধি সেন।

পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল অবশ্য কমেন্টের রিপ্লাই দেন। বলেন এই ছবি আসলে একটি উপন্যাসের ওপর তৈরি। অন্যদিকে, এই ছবির পোস্টারে লেখা আছে, ‘অনুসন্ধান’ ছবি Friedrich Dürrenmatt , Guy de Maupassant ও Edgar Wallace এর গল্পগুলির অনুপ্রেরণায় তৈরী।

কিন্তু অপেক্ষা ছিল কী বলছেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জি। এবার তাঁর সোশ্যাল সাইটে পরিচালক লিখলেন, “অনুসন্ধান ছবিটাকে হিন্দি ছবি চেহেরের রিমেক বলা হচ্ছে। যে ছবি রিলিজই করেনি – সেই ছবি দেখে – টুকে – লিখে – লন্ডনে গতবছর সেপ্টেম্বরে শুটিং ও তারপরে পোস্ট প্রোডাকশন করে এর মধ্যে নকল করবো কীভাবে? আসল কথা আলাদা। যে গল্পের ওপর ভিত্তি করে এই ছবি (এ ডেঞ্জারাস গেম) তার ওপর ভিত্তি করে আমরাই তিন বছর আগেই একটা নাটকও করেছি। নাটকটির নাম প্লেহাউস। প্রযোজনায় শৈলুষিক নাট্যদল।
সেই গল্পের ওপর ভিত্তি করেই হয়তো তৈরি হয়েছে চেহেরে। তারই কিছু উপকরণ অনুসন্ধান ছবিটিতেও আছে।

আসলে কিছু মনে না করলে বলি, আমরা বাঙালিরা আত্মবিস্মৃত এবং হীনমন্য হতে ভালোবাসি – তাই বাংলা ভাষা বললে একটু কম নাম দাম প্রতিপত্তি পাওয়া যায় বাজারে । ঠিক তেমনি একই গল্প নিয়ে হিন্দিতে ছবি হলে আমাদের নালঝোল গড়িয়ে পড়ে কিন্তু বাংলায় ছবি হলে আমরা নকল নবিশী খুঁজি। এবং এই লেখাতেও অনেকে প্রাদেশিকতা খুঁজে পাবেন কিন্তু আত্মমর্যাদা খুঁজে পাবেন না।তাতে শুধু আমি নই – আমরা অনেকেই অভ্যস্ত।
এবারে বলি এসকে মুভিজের কর্ণধার ও এই ছবির প্রযোজক হিমাংশু ধানুকা এই চিত্রনাট্য লেখার সময় থেকেই আমাদের সঙ্গে আছে – আজ আছে এর নির্মাণে। ওনারও অনেক অবদান রয়েছে এই গল্প নির্বাচন ও তৈরী করার ক্ষেত্রে। তাঁর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।

পোস্টারটা খুঁটিয়ে দেখলে দেখবেন, লেখাই আছে আমাদের ‘অনুসন্ধান’ ছবির গল্প – Friedrich Dürrenmatt , Guy de Maupassant ও Edgar Wallace এর গল্পগুলির অনুপ্রেরণায় তৈরী।

এই বিষয়ে বিজয় তেন্ডুলকারের নাটক ‘শান্ততা কোর্ট চালু আহে’ বহুল প্রসিদ্ধ।

এ নিয়ে বাংলায় ‘চোপ আদালত চলছে’, ‘তৃতীয় নয়ন’ নাটক হয়েছে।

এ নিয়ে জার্মানে, ফ্রেঞ্চে, ইতালীয় ভাষায় এবং আগেও হিন্দিতে ও কান্নাড ভাষায় ছবিও হয়েছে।
এবার বাংলায় হলো।”

 

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।