লখনউ : তিন তালাকের মতো বোরখা থেকেও মুক্তি দেওয়া উচিত মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীদের। বোরখা মুসলিম নারীদের কাছে এক অভিশাপের মতো। এমনই মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী আনন্দ স্বরূপ শুক্লার। তিনি বলেন তিন তালাকের মতো বোঝা নেমেছে, এবার বোরখা প্রথা সরিয়ে দেওয়া দরকার। বোরখা থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত মুসলিম মহিলাদের বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েদের কাছে বোরখা একটা অভিশাপ। তার থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় এসেছে। বহু মুসলিম দেশ বোরখা প্রথা তুলে দিয়েছে, সেই পথেই হাঁটা দরকার ভারতের। তবে মুসলিম নারীদের বন্দিদশা ঘুচবে।
উত্তরপ্রদেশের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জানান বোরখার নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। এমন অনেক মুসলিম নারী রয়েছেন, যাঁরা বোরখা পড়তে চান না, তাদের ওপর জোর করে নিয়ম চাপিয়ে দেওয়ার কোনও অর্থ হয়না। উদারমনস্ক মুসলিমদের প্রতি তাঁর আবেদন সম্প্রদায়ের স্বার্থে তাঁরা যেন এগিয়ে আসেন।
এর আগে, তৃণমূল নেতা শেখ আলম বৃহস্পতিবার বলেন ভারতের মুসলিমদের ৩০ শতাংশ যদি এক জোট হন, তবে চারটে পাকিস্তান তৈরি হয়ে যাবে। শেখ আলমের এই বক্তব্য নিয়ে নির্বাচনের আগে বেশ জটিলতা ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে ট্যুইট বার্তায় কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তৃণমূল নেতা শাহ আলমের বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। এই ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূল নেতা আলম এই মন্তব্য করেছেন।
অমিত মালব্য এদিন জানিয়েছেন বীরভূমের নানুরের বাসা পাড়ার নেতা শেখ আলম প্রচারের নামে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি করছেন। মালব্যর দাবি তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন সমর্থনেই শেখ আলম এই ধরণের মন্তব্য করছেন।
আরেকটি ট্যুইটে অমিত মালব্য বলেন তৃণমূল নেতা শেখ আলমের স্বপ্ন ভারতে চারটে পাকিস্তান তৈরি করবেন, কিন্তু তা বিজেপি হতে দেবে না। গত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে বিভেদের রাজনীতি করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষকে তিনি সেকেন্ড গ্রেডের নাগরিক করে রেখেছেন। এখানে দুর্গা ঠাকুরের ভাসানের জন্যও আদালতের অনুমতি নিতে হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.