রাজ্যে প্রথম দফার ভোটের দিনেই মাস্টার স্ট্রোক মোদীর, মমতাকে কাত করতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত

রাজ্যের প্রথমদফার ভোট ২৭ মার্চ, শনিবার। তার আগে শুক্রবার দুদিনের সফরে বাংলাদেশ (bangladesh) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (nareendra modi)। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেদেশ সফর। তবে এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ কিছু অন্য কর্মসূচিও রয়েছে। তিনি মতুয়াদের (matua) ধর্মংস্থান ওড়াকান্দিতে যাবেন।

জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় মোদী

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সেদেশের জাতীয় দিবস পালন করা হচ্ছে। তারই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৬ মার্চ সেখানে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। মূল অনুষ্ঠানটি হতে ঢাকার প্যারেড গ্রাউন্ডে। জাতীয় শহিদ স্মৃতিসৌধেও যাবেন তিনি। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে এই স্মৃতি সৌধ তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মাজার পরিদর্শন করতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াতেও যাবেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে

প্রধানমন্ত্রীর মোদী এই সফরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহঃ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। দুদেশের মধ্যে সম্পর্ককে জোরদার করতে একাধিক নতুন ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন। যার মধ্যে রয়েছে ১৪ দলীয় শাসকপক্ষ এবং বিরোধী দলও। এছাড়াও সেদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

প্রধানমন্ত্রী যাবেন যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে

প্রধানমন্ত্রী মোদী শ্যামনগর উপজেলায় ঈশ্বরপুরে যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরেও যাবেন। কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতা এই মন্দিরে প্রথমবার সেখানে যেতে চলেছেন। মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।

মোদী যাবেন হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মন্দিরে

প্রধানমন্ত্রী মোদীর যাওয়ার কথা রয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ তীর্থস্থান গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে। সেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন। বাংলাদেশ মতুয়া মহামিশনের সভাপতি পদ্মনাভ ঠাকুর জানিয়েছেন ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম ১৮১২ সালে। পশ্চিমবঙ্গহের ছটি লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রভাব রয়েছে। দেশ ভাগের সময় ছাড়াও ২০০১-০২ সালে খালেদা জিয়া সরকারের সময়ে হিন্দু বিরোধী কর্মকাণ্ডে বহু মানুষ এদেশে চলে আসেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের দাবি অনুযায়ী, এদেশে তাঁদের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।

সব আমাদেরই লোক, ভোটের আগে অফিসার বদল নিয়ে কমিশনকে ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা মমতার

More MAMATA BANERJEE News