স্টাফ রিপোর্টার, নামখানা ও নন্দীগ্রাম: স্বামিজী, চৈতন্যদেব যে গেরুয়া বসন পরে বিশ্বের কাছে দেশের মাথা উঁচু করেছিলেন, সেই গেরুয়া দেখলে রেগে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নামখানার সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোকে এভাবেই বিঁধলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷

যোগী বললেন, ‘‘বাংলার সন্তান স্বামী বিবেকানন্দ, চৈতন্য দেব বাংলার সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন৷ ওনারাও গেরুয়া পরেই বিশ্বের দরবারে দেশের মাথা উঁচু রেখেছিলেন৷ আর মমতা দিদি এখন গেরুয়া সহ্য করতে পারেন না৷ দিদি এখন গেরুয়া বসন দেখে ভয় পেতে শুরু করেছেন।’’

প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কদিন আগে বিষ্ণুপুরে বলেছিলেন, ভোটের আগে বহিরাগত গুণ্ডাদের বাংলায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বাংলার অবাঙালিদের আমরা বহিরাগত বলি না। উত্তরপ্রদেশের যে গুণ্ডাগুলোকে এখানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের বহিরাগত বলি। কপালে তিলক কেটে গেরুয়া পোশাক পরে বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এদিন তারই জবাব দিলেন যোগী৷

উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় কী কী সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সেই তালিকাও তুলে ধরেন যোগী। বলেন, “উত্তরপ্রদেশে ৪ বছরে ৪০ লাখ মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দিয়েছে বিজেপি সরকার। ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া হয়েছে। ২ কোটি ৬১ লক্ষ পরিবারকে শৌচালয় দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ৩৮ লাখ পরিবার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পেয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্যবিমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৬ কোটি মানুষ । ২ কোটি ৪২ লাখ কৃষক পরিবারকে কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। উত্তপ্রদেশে রেল লাইন হয়েছে, হাইওয়ে হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে, আইআইএম হয়েছে। এই সুবিধাগুলো বাংলার মানুষ কেন পেল না দিদির কাছে জানতে চাই।”

পরে নন্দীগ্রামের সভায় যোগী বলেন, “অযোধ্যায় ভগবান রামের মন্দির তৈরি কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতে বাংলার মানুষ ভীষণ ভালো সমর্থন দিয়েছেন। বিজেপির সরকার হলে ফের সোনার বাংলা হবে এবং তৃণমূলের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে।” সব শেষে সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সবাই শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে বলুন, ভারত মাতা কি জয়।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।