কলকাতা: আগামী শনিবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। জোরকদমে প্রচার চলছে মিটিং-মিছিল ।জমায়েত করছেন বহু মানুষ। এহেনপরিস্থিতিতে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে মারণ ভাইরাস করোনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের ৫০০ জনের বেশি। যা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৬ জন। গতকালের তুলনায় ৫৪ বেশি।এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৩৮১। সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে তিলোত্তমা।সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১৬৭ জন। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১১৫ জন। তৃতীয় স্থানে হাওড়া। নতুন করে আক্রান্ত সেখানকার ৩৩ জন। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মালদাতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে সংক্রমণের পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি হয়েছেন রাজ্যের ৪ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জন করে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার। এখনও পর্যন্ত করোনার বলি হয়েছেন রাজ্যের মোট ১০ হাজার ৩১৬ জন। সংক্রমণ, মৃত্যুর মতোই ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতা। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন বাংলার ৩৪৪ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ১১৫।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর প্রশাসন। রোগীদের শনাক্ত করতে নিয়মিত চলছে পরীক্ষা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৩ হাজার ০১৪ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট কোভিড টেস্ট হয়েছে ৯০ লক্ষ ৩৮ হাজার ০৮৫ জনের।
করোনা সংক্রমণে ফের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ ৩৫ হাজার অতিক্রম করেছে। মুম্বইয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০০০ জন। করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করেই ফের লকডাউনের কথা ভাবছে মুম্বইয়ের মেয়র।যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।এসবিআইয়ের রিপোর্ট বলছে আগামি এপ্রিল থেকে মে মাস ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার নেবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.