নামখানা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির নেতারা বাংলায় আসছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যে এলেন যোগী আদিত্যনাথ। নামখানা থেকে এদিন বক্তব্য রাখলেন তিনি।
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “রাম ও কৃষ্মের মাটি থেকে চৈতন্য রামকৃষ্ণের মাটিতে এসেছি আমি। আপনাদের অভিনন্দন।” বক্তব্যের শুরুতে বাংলার আবেগ উসকে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য বাংলার সংস্কৃতির কথা টেনে আনেন যোগী। বলেন, বাংলার মাটি ভারতের সাংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে। যখনই ভারত সমস্যায় পড়েছে তাকে দিশা দেখিয়েছে বাংলা। নেতাজি এই মাটি থেকেই আজাদির স্লোগান তুলেছিলেন। বাংলা থেকেই প্রথম নোবেল জয়ী রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর উঠে এসেছেন। জাতীয় সংগীতে জন্ম বাংলাতেই।
এদিন সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, একসময় যে বাংলা ভারতের সম্বৃদ্ধ রাজ্য ছিল সেই বাংলায় আজ তৃণমূলের দুর্নীতি করেছে। এই সরকারের আমলেই রাজ্যে বেকারত্ব বেড়েছে। গুন্ডারাজ চলেছে। এ কথা সর্বজনবিদিত। তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে বিজেপির কর্মীদের খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, হাতে আর ৪০ দিনেরও কম সময় রয়েছে। তারপরই তৃণমূল সরকারের ‘উলটি গিনতি শুরু’ হয়ে যাবে। কারণ তখন বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস নয়, বিজেপির সরকার হবে। বোঝাই যাচ্ছে ২ মে-র দিকে ইঙ্গিত করছেন যোগী। তিনি এদিন সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েচছেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গুন্ডাদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।
যোগী নামখানার সভায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, বাংলায় এখন কমসংস্থান নেই। শিল্প নেই। তৃণমূল কংগ্রেস তোলাবাজি করছে। আমফানে প্রধানমন্ত্রী মোদী যে টাকা পাঠিয়েছিলেন তা জনতার কাছে পৌঁছয়নি। তৃণমূল সরকারই তা পৌঁছতে দেয়নি বলে অভিযোগ যোগীর। তিনি বলেন, ১০ বছরে মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় কতজনকে প্রধানমন্ত্রী আবাস দিয়েছেন, তাঁকে প্রশ্ন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী ১ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিঃশুল্ক বিদ্যুৎ, গ্য়াস দিয়েছেন। ২ কোটির বেশি মানুষকে শৌচালয় করে দিয়েছেন। ৬ কোটি মানুষ এখন আয়ুস্মান ভারত যোজনার আওতায় রয়েছেন। ২ কোটি পরিবারকে কৃষাণ সম্মান নিধি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাংলার জনতা এগুলো কিছুই পায়নি। “মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করছি, কেন এগুলি পায়নি বাংলার জনতা?” তোপ দাগেন আদিত্যনাথ। তাঁর প্রশ্ন উত্তরপ্রদশের জনতা যদি লাভবান হয় তবে বাংলা কেন হচ্ছে না?
এদিন নামখানার সভা থেকে ফের হিন্দুত্বের কার্ড খেলেন যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া দেখে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর বোঝা উচিত গেরুয়া ভারতীয় সংসকৃতির প্রতীক। এই গেরুয়া পরেই বিবেকানন্দ বলেছিলেন গর্ব সে বোলো হাম হিন্দু হ্যায়।” তিনি এরপর বলেন, “উত্তর প্রদেশের আগের সরকার ‘শ্রীরাম’ ধ্বনি বন্ধ করতে চেয়েছিল। উত্তর প্রদেশ জবাব দিয়েছে। যখনই রাম নামের কেউ বিরোধিতা করবে জনতা জবাব দেবে।” এদিন সভা থেকে ফের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের ডাক দেন আদিত্যনাথ। বলেন রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত যোজনার সুবিধা পাবে মানুষ।
এদিন নামখানার সভা থেকে ফের হিন্দুত্বের কার্ড খেলেন যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া দেখে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর বোঝা উচিত গেরুয়া ভারতীয় সংসকৃতির প্রতীক। এই গেরুয়া পরেই বিবেকানন্দ বলেছিলেন গর্ব সে বোলো হাম হিন্দু হ্যায়।” তিনি এরপর বলেন, “উত্তর প্রদেশের আগের সরকার ‘শ্রীরাম’ ধ্বনি বন্ধ করতে চেয়েছিল। উত্তর প্রদেশ জবাব দিয়েছে। যখনই রাম নামের কেউ বিরোধিতা করবে জনতা জবাব দেবে।” এদিন সভা থেকে ফের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের ডাক দেন আদিত্যনাথ। বলেন রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত যোজনার সুবিধা পাবে মানুষ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.