নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারিকরণে যখন উদ্যোগী হয়েছে তখনই কিন্তু দেখা গেল মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চকে এই বিষয়ে সতর্ক করতে। বুধবার এই মূল্যায়ন সংস্থাটি বার্তা দিয়েছে, ব্যাংক গুলির উপর থেকে সরকার হাত তুলে নিলে তখন কিন্তু ওই সব ব্যাংকের মূল্যায়নে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। রেটিং সংস্থাটির বক্তব্য বেসরকারিকরণ হলে ঝুঁকি বাড়বে দীর্ঘমেয়াদী ঋণপত্রের বিশেষত পরিকাঠামো ঋণপত্রে। প্রসঙ্গত আগামী অর্থবর্ষে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারিকরণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাছাড়া আবার ঘটনাচক্রে এই দিন অর্থমন্ত্রী রাজ্যসভায় আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের মূল্যায়নে কোন ও প্রভাব পড়বে না বলে।

এদিকে ইতিমধ্যেই ব্যাংক বেসরকারিকরণ রুখতে আগামী দিনে লাগাতার ধর্মঘটে যেতে পারেন বলে হুমকি দিয়েছেন ব্যাংকের কর্মী ও অফিসারেরা । এমন হুমকি দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের জন্য তৈরি হচ্ছেন তাঁরা । সোমবার কলকাতায় ব্যাংকের কর্মী এবং অফিসার ইউনিয়নের যৌথমঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়নস (ইউএফবিএ) বৈঠকে বসেছিল। ওই বৈঠকের পরে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রয়োজনে আগামী দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াংকের কর্মী ও অফিসারেরা লাগাতার ধর্মঘটের পথে নামবে। দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের মতো তারা সেই পথে প্রতিবাদে নামতে চাইছেন। তবে সাধারণ জনগণের কথা মাথায় রেখে এই চরম অস্ত্রটি এখনই প্রয়োগ করতে চাইছেন না। তার আগে অবশ্য অন্যভাবে প্রতিবাদ করতে চাইছেন তারা। তাছাড়া সরকারি এহেন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাঁচ কোটি সই সংগ্রহের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ।  সেই সই করা স্মারকলিপি জমা করা হবে ।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে যখন ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে তখনই আবার দেখা গিয়েছে দেশজুড়ে ব্যাংক এবং বিমা শিল্পে ধর্মঘট ৷ গত সপ্তাহের সোম থেকে বৃহস্পতিবার আর্থিক ক্ষেত্রের অন্তর্গত প্রধান এই দুটি ক্ষেত্রে মোট চারদিনের ধর্মঘট হয়েছে ৷ ১৫ এবং ১৬ মার্চ ব্যাংকের ধর্মঘট রয়েছে ৷ আবার ১৭ মার্চ সাধারণ বিমার এবং ১৮ মার্চ জীবন বিমা কর্মী অফিসারেরা ধর্মঘট হয়েছে৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।