নয়াদিল্লি : দেশজুড়ে অব্যাহত করোনার কালো ছায়া। মারণ ব্যাধিকে কাবু করতে বাজারে ভ্যাক্সিন চলে আসলেও কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না অদৃশ্য এই শত্রুকে। ফলে সংক্রমণ রুখতে এবার রাজধানীতে হোলি নিষিদ্ধ করল দিল্লি সরকার।

২৩ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীতে যে হারে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তাতে ফের বড় কোনও বিপর্যয় যাতে না আসতে পারে তারজন্য এবছর রাজধানী শহরে প্রকাশ্যে রঙ খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

এই বিষয়ে একটি সরকারি নির্দেশিকায় দিল্লির ডিজস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তরফে জানানো হয়েছে যে, রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। প্রতিদিন যেভাবে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে তাতে সংক্রমণের বিস্তার রোধে চলতি বছর প্রকাশ্যে হোলি, নবরাত্রি, শবে-বরাত উদযাপনের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ, প্রকাশ্যে এই সব উৎসব পালন করলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে। করোনার চেন ভাঙা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

এছাড়াও ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বাইরের রাজ্য থেকে আগত যাত্রীদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক। সংক্রমণ রুখতে রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের র‍্যাট, আরটি-পিসিআর (Rat, RT-PCR) ইত্যাদি পরীক্ষা করে তবেই প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।

এদিকে দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জারি করা সর্বশেষ কোভিড -১৯ বুলেটিনে জানানো হয়েছে যে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১,১০১। সুস্থ হয়ে গিয়েছে ৬২০ জন এবং মারা গিয়েছেন ৪ জন। এছাড়াও দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৬,৪৯,৯৭৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬,৩৪,৫৯৫ জন এবং মারা গিয়েছেন ১০,৯৬৭ জন। তবে বর্তমানে রাজধানী শহরে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪,৪১১ টি।

আরো পোস্ট- জার্মানি ফের লকডাউনের পথে

প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমেই বিপজ্জনক আকার নিতে শুরু করেছে দেশজুড়ে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। মঙ্গলবারও মহারাষ্ট্রে ২৮ হাজার ৬৯৯ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে সেরাজ্যে ১৩ হাজার ৬১৫ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৬ জন। এঁর মধ্যে ২২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৯৫ জনই করোনামুক্ত হয়েছেন। গত রবিবার মহারাষ্ট্রে ৩০ হাজার ৫৩৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই পরিসংখ্যান সেরাজ্যে করোনা ছড়ানোর পর থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। বিশেষ করে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বিপজ্জনক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। করোনার সংক্রমণে লাগাম পরাতে তাই মঙ্গলবারই রাজ্যগুলির জন্য একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।