নন্দীগ্রাম: বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পর পর দুটি নির্বাচনী জনসভা সারলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি প্রথম জনসভা করেন ভগবানপুরে। পরে নন্দীগ্রামে নিজের দ্বিতীয় জনসভা করেন তিনি। দুটি সভা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান অভিষেক।
বুধবার বেলা আড়াইটা নাগাদ ভগবানপুরে বক্তব্য শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রম্পটার দেখে দেখে বাংলা পড়েন। পাশাপাশি অভিষেক বলেন, ” বাংলার মানুষ দিল্লির কাছে মাথা নত করতে চান না। এর আগে মোদী বলেছিল সবার অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ করে টাকা দেবেন। কেউ পাননি সেই টাকা।” কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “গরীবরা আরও গরীব হয়েছে আর বড়লোকরা আরও বড়লোক হয়েছে। ওরা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে। “
জনসভার মানুষদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে অভিষেক বলেন, “নোটবন্দি করে কালো টাকা ধ্বংস করবে বলেছিল। নন্দীগ্রামের কোনও গরীব বড়লোক হয়েছেন? বরং বড়লোকদের টাকা বেড়েছে। বহিরাগতদের বাংলায় ঠাঁই নেই বলে সরব হন অভিষেক। ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ বলে আওয়াজ তোলেন অভিষেক।
পশ্চিমবঙ্গকে বিজেপির ‘সোনার বাংলা’ বানানোর পরিকল্পনাকেও কটাক্ষ করেন যুব তৃণমূলের সভাপতি। নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে তিনি প্রশ্ন ছোঁড়েন, “৭ বছর কেন্দ্রে থেকে সোনার ভারতবর্ষ হল না কেন? সোনার গুজরাত হল না কেন? সোনার ছত্তিশগড় হল না কেন?”
ভগবানপুরে অভিষেক বলেন, “গুজরাতের মোতেরায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নাম পরিবর্তন করে মোদীর নামে হয়ে গিয়েছে। ক্ষমতায় এলে ভগবানপুর মোদীপুর হবে।” এছাড়াও দুই জনসভা থেকেই বিজেপির ইস্তাহারকেও তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বিজেপির ইস্তেহার অডিও ক্যাসেট, শুধু শোনা যায়, চোখে দেখা যায় না। আর তৃণমূলের ইস্তেহার হাই কোয়ালিটি ডিভিডি ক্যাসেট। আপনি শুনতেও পাবেন, দেখতেও পাবেন। আপনার শুধু অডিও ক্যাসেট নেবেন, নাকি ডিভিডি ক্যাসেট নেবেন, তা আপনারাই ঠিক করুন।”
আরও খবর পড়ুন – বিজেপিতে যোগ দিলেই জামিন, গগৈকে প্রস্তাব দিয়েছিল এনআইএ!
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.