কাঁথি : কাঠির জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দশনা। বুধবার কাঁথির নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “এই পবিত্র বঙ্গভূমিতে কেউ বহিরাগত নয়।’ কাঁথির সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোর গলায় হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বলেন, “যে মাটিতে রাজা রামমোহন রায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, মাতঙ্গিনী হাজরা, নেতাজি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জন্মেছেন, সেই মাটিতে কেউ বহিরাগত হতে পারে না।” উল্লেখযোগ্যভাবে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যের সুর ছিল অন্যদিনের সভার চাইতে অনেক কড়া।

২০২১-এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই “বহিরাগত’” শব্দটিকে হাতিয়ার করে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। বাংলার ভোটের লড়াইকে “বাঙালি বনাম গুজরাটি”, “বাংলা বনাম দিল্লি”-র লড়াই হিসেবে প্রচার করছে তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “বাংলার মেয়ে” এবং বিজেপি-র শীর্ষনেতাদের বহিরাগত হিসেবে তুলে ধরছে তৃণমূল। এই কৌশলেরই বহিঃপ্রকাশ শাসক দলের “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”, স্লোগান। তবে কাঁথির সভা থেকে তৃণমূলের সেই “বহিরাগত” তকমাকে খারিজ করতে বুধবার এক কথায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, “কবিগুরুর এই বাংলা কাউকে বহিরাগত মনে করে না।”

সভামঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদীর হুঁশিয়ারি, “যে মাটিতে দাঁড়িয়ে বন্দেমাতরম লিখে গোটা দেশকে একসুরে বেঁধেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সেই মাটিতে কেউ বহিরাগত হতে পারে না। রাজা রামমোহন রায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, মাতঙ্গিনী হাজরা, নেতাজি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিতে কেউ বহিরাগত হতে পারে না। এরা সবাই এই বঙ্গভুমির সন্তান, ভারতভূমির সন্তান। এই ভূমিতে কেউ বহিরাগত নই। এখানে কোনও ভারতবাসী বহিরাগত নন। যে বাংলায় দাঁড়িয়ে কবিগুরু জাতীয় সংগীত রচনা করেছেন। দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ, বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গাকে একত্রিত করার কথা বলেছেন। সেখানে কেউ বহিরাগত হতে পারে না। গুরুদেবের এই মাটি কাউকে বহিরাগত মনে করে না।”

প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর কথায় বুঝিয়ে দেন , নিজের ১০ বছরের কাজের খতিয়ান দিতে না পেরে এখন অজুহাত দিচ্ছেন মমতা। আর এই বহিরাগত ইস্যুও আসলে তাঁর অজুহাত। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “গত দশ বছরে কী কাজ করেছেন? তার হিসেব কেন দিচ্ছেন না। কেউ হিসেব চাইলে তাঁকে গালি দিচ্ছেন কেন? ২ মেয়ে রাজ্যের মানুষ্য আপনাকে দরজা দেখাবে।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।