শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : প্রথম দফার নির্বাচনে জঙ্গলমহলে কঠিন লড়াই। কার দখলে থাকবে জঙ্গলমহল, “দিদি” না “মোদী”? এই প্রশ্নে উত্তাল প্রথম দফার ২৭ মার্চের বিধানসভা নির্বাচন। আর এই জঙ্গলমহলের দখল ধরে রাখতে মাটি কামড়ে জঙ্গলমহলে পড়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। আর ঠিক একইভাবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের যুবনেতা ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলের জমি ছাড়তে চাইছেন না।

জঙ্গলমহল এখন কার দখলে:

আসলে জঙ্গলমহলে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে তৃণমূলরের দখলদারিই জারি ছিল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় জঙ্গলমহল “দিদি”-র হাত থেকে “মোদী”-র দখলে চলে গেছে। জঙ্গলমহলের তাই আগামী ২৭ মার্চ যে ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে আক্ষরিক অর্থে ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রকে জঙ্গলমহলের কেন্দ্র বলা যায়। এই ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, শালবনি। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর,ঝাড়গ্রাম, বিনপুর। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাঘমুন্ডি, জয়পুর, রঘুনাথপুর, মানবাজার, শালতোড়া, ছাতনা।

জঙ্গলমহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলছেন?

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচলেন নিরিখে বিধানসভা নির্বাচনের ফল দেখলেই বোঝা যাবে তৃণমূল জঙ্গলমহলে তাদের জমি হারিয়েছে। নামবাজার বিধানসভা বাদে সবকটি জঙ্গলমহলের বিধামনসভাই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এখন বিজেপি-র দখলে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে নির্বাচনী প্রচারে এসে বলছেন, “মা, বোনেরা, আপনারা এর আগের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে খালি হাতে ফিরিয়েছেন। সেটা ছিল দেশের নির্বাচন। এবার আর আমাকে খালি হাতে ফেরাবেন না। এটা রাজ্যের নির্বাচন। এটা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ২০১৯-এ বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কোথায় তার পর থেকে আপনাদের জেলায় কী উন্নয়ন করেছে বিজেপি? যারা জিতেছেন তাদের আর দেখা যাচ্ছে? সব ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতে বিজেপি পালিয়ে গেছে। বিজেপিকে ভোট দিলে আপনাদের ঘরবাড়ি কেড়ে নেবে। বিজেপিকে ভোট দিলে আপনাদের ঘরবাড়ি কেড়ে নেবে|”

জঙ্গলমহলে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ কী বলছেন?

এদিকে জঙ্গলমহলের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , অমিত শাহ বলছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ ১০ বছর সময় দিয়েছে। আপনি কোনও কাউকে কাজের হিসেব দেননি । কেউ আপনার কাজের হিসেবে চাইলে তাদের ওপর আপনি রেগে যাচ্ছেন। অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর শান্তি ফিরেছে। বাংলায় বিজেপি শান্তি আনবে। জঙ্গলমহলের উন্নয়ন হবে। মা, বোনেরা পোলিং বুথে দিদি আপনাকে জবাব দেবে।”

জঙ্গলমহলের মানুষ কী বলছে?

উন্নয়ন হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ তেমন বলছেন। জঙ্গল মহলের মানুষ বলছেন, “আমরা এবার পরবর্তন চাই। আমাদের পঞ্চব্যঞ্জনে খাইয়ে তারপর কেউ ঘাড় ধাক্কা দিক, সেটা আমরা আর মেনে নিতে পারছি না। ৭০ বছর মানুষ ভর্তুকির ভাত খেয়েছে, এবার কাজ করে ভাত খেতে চাই, আমরা কাজ চাই, পানীয় জল চাই, চাষের জল চাই। গ্রামে থাকে ৭২% মানুষ, শহরে থাকে ২৮% মানুষ। ৭২% মানুষ ঠিক করবে করা ক্ষমতায় আসবে। তবে জঙ্গলমহলের মানুষ কী চান সেটা বোঝা যাবে ২ মে। কেননা সেদিন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ। তবে জঙ্গলমহলের ১৪ টি বিধানসভার হিসেবে মানুষ করে দেবেন ২৭ মার্চ, প্রথম দফার নির্বাচনের দিন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।