রাজ্যে বিজেপির 'বুলডোজার' রুখতে পারলে দিল্লি জয়ের 'খেলায়' নামতে পারেন মমতা

সরগরম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসী প্রচারে নেমেছে বিজেপি। মমতার তৃতীয়বার জয় তাঁকে জাতীয় স্তরে আরও বৃহত্তর ভূমিকা দিতে পারে। জাতীয় স্তরে তৃণমূল নেত্রীর বৃহত্তর ভূমিকা নেওয়ার স্বপ্নের পিছনে রয়েছে, বিজেপির একমাত্র বিকল্প হিসেবে দেশজুড়ে কংগ্রেসের সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া।

জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরির তৎপরতা

জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরিতে মমতার তৎপরতা কোনও গোপন বিষয় নয়, এবং সেই ভূমিকার দাবিদার হিসেবে তিনি লাগাতার নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর নীতিগুলোকে আক্রমণ করে আসছেন, তা সে ২০১৬ সালের বিতর্কিত নোটবন্দি হোক, জিএসটি হোক, জিএসটি বাবদ পাওয়া রাজস্বের ভাগাভাগি হোক, আইএএস ও আইপিএসদের ডেপুটেশন হোক, অথবা কেন্দ্রীয় প্রকল্পসমূহ।

হিন্দুত্ব ও জাতীয়তাবাদের তাস খেলে বিজেপির জয়জয়কার

কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে ভোটে লড়ছে তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। এতে শাসক-বিরোধী দু'পক্ষই উপলব্ধি করছে যে তারা শুধু বিজেপি-বিরোধী ভোটটাই ভাগাভাগি করে দিচ্ছে। বিগত দিনগুলোতে হিন্দুত্ব ও জাতীয়তাবাদের তাস খেলে বিজেপি নিশ্চিতভাবেই লাভবান হয়েছে। তার প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে বিজেপির জয়লাভ।

রাজ্যে শক্তিশালী হয়েছে বিজেপি

তখন থেকেই নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপির আগ্রাসী প্রচারে হিন্দু দেবতা রামের নামে স্লোগান এবং রাজ্যে দু্র্নীতি এবং দুর্বল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করা হচ্ছে। মমতার 'স্থানীয় বনাম বহিরাগত' প্রচারে তাঁকে বাংলার ঘরের মেয়ে হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এর লক্ষ্য হল সেই বিজেপির মোকাবিলা করা, যারা বিগত দিনগুলোতে তৃণমূলের বহু নেতাকে দলে টেনে পূর্বের এই রাজ্যে এক শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে।

মমতা সর্বশক্তি দিয়ে বিজেপির সঙ্গে সংঘাতে নেমেছেন

রাস্তায় নেমে লড়াই করার জন্য পরিচিত মমতা সর্বশক্তি দিয়ে বিজেপির সঙ্গে সংঘাতে নেমেছেন এবং গেরুয়া শিবিরের প্রচারকে খণ্ডন করতে হুইলচেয়ারে বসেই রাজ্যজুড়ে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছেন, যে নির্বাচন কমিশনের নজরদারির মধ্যেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। কমিশন এবং বিজেপি দুই পক্ষই এই অভিযোগ নাকচ করেছে।

ব্যান্ডেজ বাঁধা মমতাকে ঘিরে কর্মীদের আবেগ

কিন্তু পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি তাঁর অনুগামীদের কাছে প্রতিরোধের জোরালো ছবি হিসেবে উঠে এসেছে, যা তৃণমূলের পক্ষে অতিরিক্ত কয়েক শতাংশ ভোট টেনে আনতে পারে। আগ্রাসী প্রচার সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শক্তিশালী সংগঠনের অভাব রয়েছে, এবং নেতাদের অভাব ঢাকতে বড় সংখ্যায় তৃণমূল নেতাদের দলে টানার মধ্যে দিয়ে তারই ইঙ্গিত মিলছে।

বিজেপিকে থামাতে পারবেন মমতা?

যদি মমতা তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন, তাহলে প্রমাণ হবে যে তিনি বিজেপির বিজয়রথ থামিয়ে দিতে সক্ষম, সুতরাং তিনি জাতীয় স্তরে বিরোধী ফ্রন্টের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দ নাও হতে পারে, কিন্তু মমতা এর মধ্যেই এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ডিএমকে প্রধান এমকে স্টালিনের মতো বিরোধী নেতাদের পাশে পেয়ে গিয়েছেন।

পুরুলিয়ার ৭টি আসনের কোথায় এগিয়ে কোন ফুল, ভোটের আগে একনজরে পরিসংখ্যান

Know all about
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

More MAMATA BANERJEE News