কলকাতা: ২০২১-এর নির্বাচনে কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। এই আলোচনা মানুষের মুখে মুখে ঘুরছিল। এবার একটি বেসরকারি সংস্থার জনমত সমীক্ষায় সেই বিষয়টি প্রকাশ পেলো। তবে সরকার গড়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি ঠিক তৃণমূলের কাছেই রয়েছে। তবে তৃণমূল ও বিজেপি-র থেকে অনেক দূরে রয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। তবে এই সমীক্ষা মানতে রাজি নয় বাম, তৃণমূল, বিজেপি কেউই। তাদের সবারই দাবি, আমরাই আসছি।
২০১৬ সালে তৃণমূল রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ২১১টি আসন নিয়ে একক ক্ষমতায় রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় আসে। তবে এবার সেই তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারছে না এমনই আভাস দিচ্ছে জনমত সমীক্ষাটি। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ১১ হাজার ৯২০ জনের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষার ফল বলছে, তৃণমূল পেতে পারে ১৩৬ থেকে ১৪৬টি আসন। সর্বোচ্চ আসন পাওয়ার নিরিখে যা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে দুটি আসন কম। তার ঠিক পরেই রয়েছে বিজেপি। সমীক্ষা বলছে বিজেপি পেতে পারে ১৩০ দিকে ১৪০টি আসন। বাম কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট পেতে পারে ১৪ থেকে ১৮টি আসন। শতকরা হিসেবে তৃণমূল পেতে পারে ৪০%, বিজেপি পেতে পারে ৩৮% এবং সংযুক্ত মোর্চা পেতে পারে ১৬% এবং অন্যান্যরা পেতে পারে ৬% আসন।
তবে সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেবকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মানুষ এখনও ভোট দিলেন না। অথচ ফলাফলের হিসাব হয়ে গেলো! এসব সমীক্ষার কোনও ভিত্তি নেই। আমরা প্রচারে গিয়ে দেখছি মানুষ আমাদের সঙ্গে আসছেন। আমাদের কথায় সাড়া দিচ্ছেন। এই বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে পলিটিকাল বাইনারি তৈরী করা হয়েছিল সেটা ভেঙে গেছে। কোনও সমীক্ষা নয় ভোটের ফল ঠিক করবেন জনতা। তাদের সমর্থন আমাদের দিকে আসবে বলেই আমরা মনে করি। কেননা বিজেপি ও তৃণমূল আসলে বিজেমুল। তৃণমূল থেকে একদল এসে বিজেপিতে যোগ দিয়ে এখন নীতির কথা বলছে। অথচ বিজেপিই এই মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের নারদকাণ্ডে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও বিজেপি রাজ্য দফতর থেকে রাজ্যবাসীকে দেখিয়েছিল। তাই বলছি মানুষ সব বুঝতে পারে, পারছে। কোনও সমীক্ষা রিপোর্ট মানুষকে প্রভাবিত করতে পারবে না।”
এই সমীক্ষাকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি ২০০ আসন নিয়ে তারা রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে। বিজেপি-র রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় সবকটি সভায় বলছেন এবার তৃণমূল ২৪০টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তাই বাস্তবে কী হতে চলেছে তার জন্য আর কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তারপর মানুষের রায়ে ২ মে স্পষ্ট হয়ে যাবে রাজ্যে কে শাসন ক্ষমতায় এলো।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.