কলকাতা: “খেলবো হোলি রঙ দেব না তাই কখনো হয়?”- এটা সত্যিকারের অবাস্তব একটা কথা। এক সময়ে শত্রুও শত্রুকে মনের ভালোবাসার রঙে রাঙাতে আসে। কিন্তু এবারের হোলি একেবারেই অন্যরকম তা বলাই বাহুল্য। হোলি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে, কারণ এটি সুপার স্প্রেডিং ইভেন্ট। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশজুড়ে।
এই সময়টা বুঝতে হবে, হোলি উৎসব খুব সীমিতভাবে পালন হওয়া দরকার এবং যাবতীয় কোভিড নিষেধাজ্ঞা মেনে উৎসবে সামিল হতে হবে ছোট থেকে বড়ো সকলেকেই। কারণ বেঁচে থাকলে এরকম আরো হাজার বসন্ত রঙিন করে তুলতে পারবো আমরা। একটি সংক্রমিত ব্যক্তি আরো বেশি জনকে আবার সংক্রমিত করতে পারেন এটা মাথায় রাখবেন এবার হোলি খেলার আগে। ইতিমধ্যেই অনেক জায়াগায় রঙ খেলা নিয়ে গাইডলাইন জারি করে দেওয়া হয়েছে।
১. আমরা বড় কোনও হোলি মিলন অনুষ্ঠান বা শোভাযাত্রা বা জন সমাগম করার দিকে এগোবো না এই বছর। কারণ শারীরিক দুরুত্ব এই সমাবেশগুলিতে মেনে চলা যায় না বাস্তবে। লোকজনের থেকে নিরাপদ দূরত্ব পালন করতে হবে এই সময়টায়। মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে ও চোখে রাখতে হবে একটি করে সানগ্লাস। মাথা ঢেকে নেন অনেকেই যাতে কভুলের ভেতরে রঙ না ঢোকে। এবার আরো বেশি মাথায় রাখুন এই বিষয়টি।
২. হোলির দিন যতবার আবির লাগাবেন কাউকে ততবার নিয়ম করে দুই হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে ধুতে হবে। নিজের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই শুধু এবার খেলুন হোলি। বাড়িতেও বেশি অতিথিদের ডেকে পার্টি করবেন না এবার। তবে পরিবারের সঙ্গে হোলি পার্টিতে গানের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে হালকা খানাপিনার আয়োজন তো করতেই পারেন। পুরোনো দিনের বলিউডি হোলি সংগুলি কম্পাইল করে চালিয়ে দিন আপনার মিউজিক সিস্টেমে। বাইরে না বেরোনোর দুঃখ কিছুটা হলেও ঘুচবে।
৩. প্রকাশ্যে রাস্তায় যাকে তাকে রঙ লাগানো থেকে একটি বছর বিরত থাকুন ছোট বড়ো সকলেই।
৪. কেমিক্যাল যুক্ত রঙ না কিনে বাড়িতে বানান ভেষজ রঙ যা স্কিন ফ্রেন্ডলি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.