গুয়াহাটি: বোমা ফাটালেন অখিল গগৈ। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ তাঁকে ২০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল। পাশাপাশি বিজেপি বা আরএসএসে যোগ দেওয়ার অফারও তাঁকে দিয়েছিল এনআইএ। গগৈয়ের অভিযোগ এনআইএ তাঁকে বলেছিল, তিনি যদি এই প্রস্তাবে সম্মত হন তবে তাঁকে জামিন দেওয়া হবে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় অখিল গগৈকে। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জন্য ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরই নতুন রাজনৈতিক দল রাইজোর দলের তরফে একটি চিঠি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। সেখানেই এনআইএ-র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন অখিল গগৈ। দলের প্রেসিডেন্ট গগৈ বলেছেন, এনআইএ তাঁকে রাজনৈতিক ভাষণ দিত। “প্রথমে আমাকে হিন্দুত্বের কথা বলা হয় ও তারপর প্ররোচিত করা হয়। আমাকে বলা হয়েছিল যদি আমি আরএসএসে যোগ দিই তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পেয়ে যাব। যখন আমি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি আমাকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অফার দেওয়া হয়। ওরা বলেছিল বিধানসভার ফাঁকা আসন থেকে আমি যেন লড়াই করি আর তারপর আমাকে অসমের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী বানিয়ে দেওয়া হবে।”

গগৈ আরও বলেন, “আমার প্রত্যাখ্য়ানের জন্য আমার উপর একাধিক মামলা করা হল। এমনকী আমি সুপ্রিম কোর্ট থেকেও জামিন পেতে ব্যর্থ হলাম। দেখে মনে হচ্ছে আমার বের হওয়ার ​​সমস্ত সম্ভাবনাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমার পরিবার প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি শারীরিকভাবে শেষ হয়ে গিয়েছি।” তবে বিজেপি এই অভিযোগকে নির্বাচনী চমক বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দলের মুখপাত্র রূপম গোস্বামী বলেছেন, “২০১৯ সালের ডিসেম্বরে গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় গগৈকে। এই সময় কেন তিনি চুপ ছিলেন? অসমের ভোটের জন্য এটা শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচার। যাঁরা বুদ্ধিমান ও সমস্ত বিষয় জানেন তাঁরা এই প্ররোচনায় পা দেবেন না। এই কৌশলে ভেসে যাবেন না তাঁরা।” এনআইএ-র এক অফিসার অধিল গগৈয়ের গোটা বিষয়টিকে “ভিত্তিহীন ও মিথ্যা” বলে জানিয়েছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।