সচিন বেজ ঘনিষ্ঠ দুই পুলিশ অফিসারের বদলি, বড়সড় রদবদল মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চে

আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে ধৃত ও সাসপেন্ড পুলিশ অফিসার সচিন বেজের দুই ঘনিষ্ঠ সহকর্মীকে ক্রাইম ইন্টালিজেন্ট ইউনিট থেকে মঙ্গলবার বদলি করে দেওয়া হল। ওই দুই পুলিশ কর্মী হলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর রিয়াজুদ্দিন কাজি এবং প্রকাশ হোভাল। এঁরা দু’‌জনেই বেজের অধীনে কাজ করতেন।

বদলি ২ জন এপিআই

মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে রিয়াজুদ্দিন কাজিকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় অস্ত্র ইউনিটে এবং প্রকাশ হোভালকে স্থানান্তর করা হয়েছে মালাবার হিল পুলিশ স্টেশনে। মুকেশ আম্বানি বোমাতঙ্কের ঘটনায় উভয় পুলিশ অফিসারকে এনআইএ একাধিকবার জিজ্ঞাবাদ করেছে।

আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ড

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার সামনে থেকে বিস্ফোরক ভর্তি এসইউভি গাড়ি উদ্ধার করা হয়। ২০টি জিলেটিন স্টিক পাওয়া যায় গাড়ির মধ্যে থেকে। এর পাশাপাশি পুলিশ আম্বানি পরিবারকে লেখা একটি হুমকি চিঠিও উদ্ধার করে। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ জানতে পারে যে আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া এসইউভি গাড়িটি আসলে থানের ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেনের। মনসুখকে ওই গাড়ির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেতিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর গাড়িটি চুরি যায় এবং সে বিষয়ে তিনিঅভিযোগও দায়ের করেছেন।

মনসুখ হিরেন খুনের মামলা

এরপরই রহস্যজনকভাবে গত ৫ মার্চ মনসুখ হিরেনের দেহ উদ্ধার হয় মুম্বারা খাঁড়ি থেকে, যা থানের বাইরে অবস্থিত। হিরেনের স্ত্রী অভিযোগ করেন যে তাঁর স্বামীকে সচিন বেজ খুন করেছে, সে ওই সময় আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডের তদন্তে ছিল। মনসুখ হিরেনের খুন ও আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ড এই দুই ঘটনার পেছনে সচিন বেজের ভূমিকা যে রয়েছে তা খুব শীঘ্রই প্রমাণিত হয়ে যায়।

গ্রেফতার সচিন বেজ

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এই বিষয়টিকে ইস্যু করে বিরোধী দলের নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানান যে সচিন বেজের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ ছিল মনসুখ হিরেনের। বিতর্ক যখন ক্রমেই পারদ চড়াচ্ছে, সেই সময় কেন্দ্র এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেয় এনআইএর হাতে এবং ১২ মার্চ এনআইএ গ্রেফতার করে সচিন বেজকে। এরপরই বেজকে সিআইইউ থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবারই রাজ্যের এটিএস এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন যে মনসুখ হিরেন খুনে সচিন বেজ মূল ষড়যন্ত্রকারী।

বড়সড় রদবদল ক্রাইম ব্রাঞ্চে

এপিআই রিয়াজুদ্দিন কাজি ও প্রকাশ হোভালে বদলি ছাড়াও মুম্বই পুলিশ বড়রকমের রদবদল আনতে চলেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চে। ২৮ জনের বেশি পুলিশ ইনস্পেক্টর, অধিকাংশ ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন, ১৬ জন এপিআই এবং ১৯ জন অন্য পুলিশকে ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে অন্যত্র।

বিজেপি টেক্কা দিতে পারল না তৃণমূলকে, দিব্যেন্দু অধিকারী মোদীর সভায় গরহাজির

অভিনেতা বাদশা মৈত্রর অদেখা নানা ছবি

More NIA News