পুনে: তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের ‘সুপারফ্যান’। সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের অন্ধভক্ত সুধীর গৌতম বিগত কয়েকবছরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমার্থক হয়ে উঠেছেন একপ্রকার। দেশ-বিদেশে ভারতীয় দলের সঙ্গে প্রায় সব ভেন্যুতে হাজির হয়ে যান বিহারের এই বাসিন্দা। তিনি যে কেন ভারতীয় ক্রিকেটের সুপারফ্যান, মঙ্গলবার ফের একবার তার স্বপক্ষে যুক্তি দিলেন সুধীর গৌতম। পুনের এমসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন পাহাড় থেকে এদিন ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখলেন তিনি।
কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই চলছে ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান-ডে সিরিজ। কিন্তু সুধীরের মত ক্রিকেট পাগল ফ্যানকে প্রিয় দলের খেলা দেখা থেকে কাহাতক আটকে রাখা যায়। তাইতো মঙ্গলবার ম্যাচ চলাকালীন এমসিএ স্টেডিয়াম থেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে সংলগ্ন একটি পাহাড়ে আস্তানা নিয়েছিলেন সুধীর। তেরঙ্গার রং’য়ে নিজেকে রাঙিয়ে, তেরঙ্গা এবং শঙ্খ হাতেই পাহাড়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। ঠিক যেভাবে স্টেডিয়ামে প্রিয় দলের ম্যাচ উপভোগ করেন, এদিন পাহাড় থেকে পাখির চোখে একইভাবে কোহলিদের ম্যাচ উপভোগ করেন সুধীর।
প্রথম দু’টি টি২০ ম্যাচ অবধি মোতেরায় দর্শক প্রবেশে অনুমতি ছিল। সুধীরও সে সময় ছিলেন গ্যালারিতে। এরপর কোভিডের বাড়বাড়ন্তে মোতেরায় ফের দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় সুধীর পৌঁছে গিয়েছিলেন রায়পুর। সেখানে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে সচিন-যুবিদের ক্রমাগত উৎসাহ জুগিয়ে এসেছেন বিহার নিবাসী সুধীর। এরপর তাঁর এদিনের ঘটনা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। সিরিজের বাকি দু’টি ম্যাচও সুধীর এভাবেই উপভোগ করবেন। এদিন পাহাড় থেকে তাঁর ম্যাচ উপভোগ করার ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন সুধীর গৌতম।
উল্লেখ্য, ধাওয়ানের ৯৮ ছাড়াও কোহলি, রাহুল এবং অভিষেকে ক্রুনাল পান্ডিয়ার অর্ধশতরানে মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩১৭ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ১৩৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পরেও ২৫১ রানে অল-আউট হয়ে যায় মর্গ্যানের ইংল্যান্ড। অর্থাৎ ৬৬ রানে জয় দিয়ে ওডিআই সিরিজে অভিযান শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে ইংল্যান্ড যখন শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ খেলছিল তখন এমনই এক ইংল্যান্ড সমর্থক নজর কেড়েছিলেন। গলে স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালীন রব লুইস নামে জনৈক ইংরেজ সমর্থক স্টেডিয়াম সংলগ্ন গলে ফোর্টের চূড়ায় উঠে ইংল্যান্ডের ম্যাচ উপভোগ করেছিলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.