বর্ধমান: নেত্রী ধ্যান জ্ঞান, তাঁকে অনুকরণ করেই খোদ প্রার্থীর অভিনব মনোনয়ন জমা। একেবারে হাওয়াই চটিতে চমক দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
বুধবার মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সম্মান জানিয়ে তাঁর মতো হাওয়াই চটি পরে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নিশীথকুমার মালিক। টানা তিনবার তিনি এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথমবার সিপিআইএমের কাছে হেরে যান তিনি। কিন্তু গত ২০১৬ সালে সেই হারের বদলা নেন। এবারও জয়ের ব্যাপারে পূর্ণ বিশ্বাসী নিশীথ মালিক।
তিনি জানিয়েছেন, দিদি হাওয়াই চটি পরে একপায়ে চোট নিয়ে লড়াই করছেন। তাই তিনিও এদিন হাওয়াই চটি পড়েই মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন। নিশীথ মালিকের অনুগামীরা জানিয়েছেন, এবারে জয়ের জন্য তিনি পরামর্শ পেয়েছেন হাওয়াই চটি পরে যাতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সেই পরামর্শ মেনেই এদিন তিনি হাওয়াই চটি পরে এলেন। তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন,তিনি হাওয়াই চটি পরেই প্রচার করবেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রে লড়াই ত্রিমুখী। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী নিশীথ মালিক একজন শিক্ষক। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী শিক্ষক রাধাকান্ত রায়। দুই শিক্ষকের মধ্যে ভোট লড়াইয়ের মাঝে রয়েছেন মেধাবী ছাত্র সিপিআইএমের চণ্ডীচরণ লেট। হাওয়াই চটি পরে মনোনয়ন জমা দিয়ে নিশীথবাবুর দাবি, সিপিআইএম বা বিজেপি কোনও ফ্যাক্টরই হবে না। বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের ভোটাররা এবারও তাঁকে জয়ী করবেন।
ভোটের লড়াই জমে উঠেছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। দেওয়ালে দেওয়ালে ছড়ায় ছড়ায় রাজনৈতিক দলগুলি পারস্পরিক লড়াইয়ের ডাক দিচ্ছে। এর মাঝে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। বুধবার বর্ধমানে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জামালপুর আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অলোক মাঝি। এর পরেই প্রার্থী বদলের দাবিতে জামালপুরেই পড়ল পোষ্টার। পোষ্টারে লেখা হয়েছে জামালপুর বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই। বহিরাগত প্রার্থী অলোক কুমার মাঝিকে মানছি না, মানব না। পোষ্টারকে ঘিরেই শুরু হয়েছে তীব্র চাপান উতোর।
জামালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১৬ নির্বাচনে বিজয়ী হন বামফ্রন্টের সমর হাজরা। তিনি পরাজিত করেন তৃণমূলের উজ্জ্বল পরমানিককে। ২০১১ সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এবার শাসক দল প্রার্থী বদল করেছে। তার পর থেকেই চলছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তবে এবারের তৃণমূল প্রার্থী অলোক মাঝি জানিয়েছেন জানিয়েছেন, জামালপুরে কোথাও কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। সমস্ত নেতা কর্মীরাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন জয়ের লক্ষ্যে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.