প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই দলবদল
ভোট যত এগিয়ে আসছে, দল পরিবর্তন যেন ততই বাড়ছে। সামনে থাকা নেতারা না হলেও, নিচু তলায় দলবদল লেগেই আছে। সোমবার কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী মহাদেব সরকারের হাত ধরে এলাকার প্রায় ৫০ টি পরিবার গেরুয়া শিবিরে যোগদান করে।
৫০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে
দলবদলকারীদের তালিকায় রয়েছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারাও। কৃষ্ণনগর বেলডাঙার তৃণমূল কার্যালয়ে প্রায় ৫০০ তৃণমূল নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন প্রার্থী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। এই দলবদলে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মুকুল রায়। তিনি বলেছেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিদায় হচ্ছে এটা নিশ্চিত। তাই সবাইকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।
তৃণমূল এখন কোম্পানি
বিজেপিতে যোগ দেওয়া ছাত্র নেতা বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু বর্তমানে দলটি একটি কোম্পানি পরিণত হয়েছে। তবে বর্তমানে তাঁদের সৌভাগ্য হয়েছে। কেননা মুকুল রায়ের মতো নেতার হাত ধরে তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করলেন। স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই ভাঙনের ফলে তৃণমূলের পক্ষে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
পঞ্চায়েতের বোর্ড যাচ্ছে বিজেপির হাতে
ভাঙন শুধু কৃষ্ণনগর উত্তর কিংবা দক্ষিণেই নয়, নদিয়ার শান্তিপুরের বেলগড়িয়ায় পঞ্চায়েতও বিজেপির হাতে আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সেখানকার পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শান্তিপুর বিধানসভার ছটি পঞ্চায়েতই রয়েছে তৃণমূলের দখলে। এর মধ্যে বেলগড়িয়া দুনম্বর পঞ্চায়েত নির্দলদের নিয়েই গঠন করেছিল তৃণমূল। তবে বেশ কিছুদিন ধরে পঞ্চায়েতের প্রধান আর উপপ্রধানের মধ্যে সংঘাত লেগেছে। আবাস যোজনা থেকে আম্ফান, নানা বিষয় নিয়েই সংঘাত। ফলে বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের জনসভাতেই যোগদান করেন এই উপপ্রধান। তবে এই যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের ফলেই প্রমাণ হয়ে যাবে বলে, জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।