নয়াদিল্লি : সম্প্রতি উত্তর ভারতের বেশ কিছু স্থানে দাবদাহের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তাপপ্রবাহ পেরিয়ে এবার শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে মৌসম ভবন। এর জেরে তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলতে পারে এমন ভালো আবহাওয়া।
কেন এমন হতে পারে? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এখনও অবস্থান করছে। তার সঙ্গেই রাজস্থানের উপরে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। এই দুইয়ের জোড়া প্রভাবে দিল্লি, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তর রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানাতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে কেন্দ্রীয় হাওয়া অফিস। ঝড় বৃষ্টি থামলেই চেনা ছন্দে ফিরবে গরম। তাপমাত্রা ফের বাড়বে। এমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
ওই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে জম্মু-কাশ্মীর-লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের অনেক জায়গায় ইতিমধ্যেই তুষারপাত হয়েছে।
এর আগে রাজস্থানের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল আবহাওয়া দফতরের তরফে। বলা হয়েছিল, ২৩ মার্চ নাগাদ সিকার, ভরতপুর, আলওয়ার, আজমেঢ়, ঝুনঝুন অনেক জায়গাতেই প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টি হতে পারে। প্রবল না হলেও ঝর বৃষ্টি হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে।
এদিকে কলকাতায় গরম যেমন রয়েছে সঙ্গে রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি, যা দুপুর গড়িয়ে বিকালেও একই থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রির বেশি বেড়েছে। এদিন তা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মঙ্গলবার ছিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৩৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার সকালে লকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সোমবার ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৮ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৩১ শতাংশ। এই অঙ্কই বলে দিচ্ছে দিনভর শহরে দাপাচ্ছে গরম।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.