ব্রিটেনের স্ট্রেনের চোখরাঙানিতে ত্রস্ত আম-আদমি, প্রশ্নের মুখে একাধিক টিকার সাফল্যের হার

গত পাঁচমাস যাবৎ মারণব্যাধিতে লাগাম পরানো সম্ভব হলেও, বিগত কয়েকমাসে কোভিডের বাড়বাড়ন্তে মাথায় হাত কেন্দ্রের। সূত্রের খবর, পাঞ্জাব সরকারের পাঠানো ৪০১টি নমুনার ৮১% পজেটিভ কেসই ব্রিটেনের স্ট্রেনে আক্রান্ত! পাশাপাশি সাধারণ কোভিডের চেয়েও প্রায় ৩০-৭০% অধিক সংক্রামক ব্রিটেনের স্ট্রেন। প্রায় ২০ রকমের অভিযোজনের কারণে আগের চেয়েও তাড়াতাড়ি মানবকোষের সঙ্গে সংযুক্ত হতে সক্ষম করোনাকোষ, স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের মতামত এমনই।

একনজরে ব্রিটেনের স্ট্রেনের হাল-হকিকত

গত বছরের ২৯শে ডিসেম্বর ব্রিটেন-ফেরত ৬ যাত্রীর শরীরে সর্বপ্রথম ব্রিটেনের বি.১.১.৭ স্ট্রেনের খোঁজ মেলে। ব্রিটিশ গবেষকদের তথ্যানুযায়ী, কোভিডের সাধারণ রূপের থেকেও অনেক বেশি ভয়ংকর এই স্ট্রেন। পাশাপাশি ব্রিটেন প্রশাসনের একটি সমীক্ষানুযায়ী, এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হলে বাড়ে হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা। ফলে বি.১.১.৭ স্ট্রেন শরীরে প্রবেশ করলে যে হোম কোয়ারানটাইনে সেরে ওঠা আর সম্ভব হবে না, তা স্পষ্ট মহামারী বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যেই।

ভারতে কোভিড জোয়ারের কালপ্রিট কী বিলেতের স্ট্রেন?

ভারতে ক্রমশ বাড়ছে বাইরে থেকে আসা স্ট্রেনের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের বিবৃতি অনুযায়ী, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের স্ট্রেনে ১৮ই মার্চ পর্যন্ত ৪০০ জন ভারতীয় আক্রান্ত হলেও বর্তমানে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯৫ জন। পাশাপাশি হু বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্বে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পুনরায় আক্রান্ত করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের স্ট্রেন। স্বভাবতই আতঙ্কিত দেশের নাগরিকরা।

অন্যান্য দেশে কতটা ভয়ঙ্কর ব্রিটেনের স্ট্রেন?

হু-এর পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫টি দেশে পাওয়া গেছে ব্রিটেনের স্ট্রেন। পাশাপাশি ১৩টি দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের জেরে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বি.১.১.৭, এই কারণে ইতিমধ্যেই তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের মুখে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড। পাশাপাশি পর্তুগাল, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সেও দেখা মিলছে ইউকে স্ট্রেনের। সাধারণ স্ট্রেনের থেকেও প্রায় ৫৬% অধিক সংক্রামক রূপে বি.১.১.৭ দেখা দেওয়ায় যে বেশ অস্বস্তিতে নাগরিকরা, তা স্পষ্ট সাম্প্রতিক তথ্যেই।

বিলেতের স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কতটা সফল ভারতীয় ভ্যাকসিন?

এই মুহূর্তে ভারতীয় ভ্যাকসিনগুলির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে প্ৰস্তুত 'কোভ্যাক্সিন'। ব্রিটেনের নবস্ট্রেনের বিরুদ্ধে পাঁচিল গড়তে যে সক্ষম এই কোভ্যাক্সিন, সম্প্রতি তা জানা গেছে আইসিএমআর ও এনআইভির গবেষণায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, সর্বশেষ ট্রায়ালের প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করার আগেই ভারত বায়োটেক ছাড়পত্র পেয়ে যায় কেন্দ্রের তরফে, তবে এর কারণ অবশ্যই ব্রিটেনের স্ট্রেনের হঠাৎ বাড়বাড়ন্ত।

ভোটের আগে বিপাকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কমিশন নিল বড় পদক্ষেপ

বেহালা পশ্চিমের প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের প্রচার, সাথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত

More CORONAVIRUS News