পুনে: টি২০ ফর্ম্যাটে কার্যত জায়গা হারিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য-সমাপ্ত টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা বিশ্রামে থাকায়। কিন্তু ব্যর্থ হতেই সিরিজের বাকি চারটি ম্যাচে তাঁর কথা আর বিবেচনা করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। স্বাভাবিকভাবেই মঙ্গলবার সিরিজের প্রথম ওয়ান-ডে ম্যাচে তিনি যে চাপের প্রেসার কুকারে ছিলেন তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু চাপের মুখেই ব্যাট হাতে এদিন পুনের এমসিএ স্টেডিয়ামে প্রত্যুত্তরটা দিলেন শিখর ধাওয়ান। ম্যাচ জেতানো ৯৮ রানের ইনিংস খেলে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘গব্বর’ জানালেন, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে চাপ নেওয়ার অভ্যেসটা তাঁর সহজাত।
ধাওয়ান ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ সবসময় থাকবেই। কিন্তু একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে আমি জানি চাপটা কীভাবে সামলাতে হয়। দ্বিতীয়ত, অভিজ্ঞ হিসেবে আমি জানি কোন ধরনের উইকেটে কোন শট খেলা বাঞ্ছনীয়। তাছাড়া উইকেটের চরিত্র বুঝে দলের ব্যাটিং ইউনিটের সঙ্গে আমরা আলোচনা করি। এদিনও সেটাই করেছি এবং সেটা কাজে লেগেছে।’ টি২০ সিরিজের বেশিরভাগ সময়টা একাদশের বাইরে কাটিয়েও নিজেকে ইতিবাচক রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন ধাওয়ান।
তাঁর কথায়, ‘আমি আমার ফিটনেস, স্কিল, জিমের প্রতি মনোনিবেশ করেছিলাম এবং মানসিকভাবে সমসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি। যে কোনও পরিস্থিতিতেই আমি এটা চেষ্টা করি। আমি আমার ব্যাটিং নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি জানতাম একটা সুযোগ পেলেই সেটা আমি কাজে লাগাতে পারব।’
মাত্র ২ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হলেও ‘গব্বর’ ভেঙে পড়ার মানুষ নন। তিনি বলেন, ‘৯৮-এ আউট হয়ে সকলের একটু খারাপ লাগতে পারে কিন্তু আমি সেই দলে পড়ি না। আমার শতরানের জন্য কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। একটা শট খেলতে গিয়েছিলাম কিন্তু আউট হয়ে গিয়েছি। কোনও ব্যাপার না, পরেরবার নিশ্চয় হবে।’ পাশাপাশি এমসিএ স্টেডিয়ামে পিচের সিম এবং সুইং চরিত্র নিয়ে ধাওয়ান জানিয়েছেন, ‘সিম এবং সুইং দু’টোই হচ্ছিল। কিন্তু শুরুতেই দু-তিন উইকেট হারালে দলের পক্ষে চাপ হয়ে যেত। তাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল ক্রিজে টিকে থাকা এবং ভাল ডেলিভারিগুলো দেখেশুনে খেলা। কারণ আমরা জানি টিকে থাকলে পরে রান আসবেই।’
ধাওয়ানের ৯৮ ছাড়াও কোহলি, রাহুল এবং অভিষেকে ক্রুনাল পান্ডিয়ার অর্ধশতরানে মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩১৭ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ১৩৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পরেও ২৫১ রানে অল-আউট হয়ে যায় মর্গ্যানের ইংল্যান্ড।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.