শিলিগুড়িতে কমিশনের বৈঠক
এদিন শিলিগুড়িতে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেখানে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি উঠে আসে বিমল গুরুং এবং অনিত থাপাদের প্রসঙ্গও। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তোলা অভিযোগ নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জিটিএ-র বোর্ডে অনিত থাপাকে নিয়ে প্রশ্ন
রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা এবং কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে রাজ্য সরকার সেখানে নির্বাচন না করিয়ে প্রশাসনিক বোর্ড তৈরি করে বোর্ডে মাথায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বসায়। কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতেই সেই সব বোর্ডের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরিয়ে দিতে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন সেই আদেশ অনুযায়ী, যেমন শিলিগুড়ির কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে অশোক ভট্টাচার্যকে সরানো হয়েছে, ঠিক তেমনই কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। কিন্তু পাহাড়ের জিটিএ বের্ডের প্রধানের পদ থেকে অনিত থাপাকে সরানো হয়নি এখনও। যা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই রিপোর্ট পেলেই জিটিএ বোর্ডের প্রধানের পদ থেকে অনিত থাপাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
বিমল গুরুংকে নিয়ে আলোচনা
২০১৭-তে উত্তাল হয়েছিল পাহাড়। সেই সময় বিমল গুরুং-এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-সহ ১০০-র বেশি মামলা হয়। পরবর্তী প্রায় তিন বছর নিরুদ্দেশ ছিলেন তিনি। এরপর পুজোর সময় কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল যাতে পাহাড় ও ডুয়ার্সে ভাল ফল করে তার জন্য তিনি চেষ্টা করবেন। পরবর্তী সময়ে বিমল গুরুং-এর বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহারের কথা উঠে এসেছিল সংবাদ মাধ্যমে। এদিনের বৈঠকে সেই বিমল গুরুং প্রসঙ্গও উঠে আসে। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরা। এমনটাই খবর সূত্রের। এব্যাপারে মুখ্যসচিব এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করেন তিনি।
কমিশনের নজরদারিতে পর্যবেক্ষকরাও
রাজ্যের পর্যবেক্ষকরা কমিশনের নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরা। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে্ই একজন সাধারণ পর্যবেক্ষককে সরানো হয়েছে। রাজ্যে বোমা উদ্ধার এবং বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিশ পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।