মুম্বই: করোনামুক্তিতেও মিলল না রেহাই। ফের কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ধনঞ্জয় মুন্ডে। টুইটে এই খবর নিজেই জানিয়েছেন তিনি। গত বছরের জুন মাসে তাঁর শরীরে প্রথম করোনাভাইরাস বাসা বেঁধেছিল। মাসখানেক পর তিনি সুস্থ হন। কিন্তু এবার ফের তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা যায়। পরীক্ষা করালে জানা যায়, দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মন্ত্রীমশাই।
মহারাষ্ট্রের সামাজিক ন্যায়রক্ষা মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা ধনঞ্জয় মুন্ডে। মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের সরকারের তিনি বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। গত বছরের জুন মাসে তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এবার ফের তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। টুইটে এই খবর জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা আক্রান্ত হলাম। গত কয়েকদিনে আমার সংস্পর্শে যাঁরাই এসেছেন, প্রত্যেককে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে অনুরোধ করছি। এতে ভয়ের কিছুই নেই। প্রত্যেকে মাস্ক পরুন ও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন।’’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমেই বিপজ্জনক আকার নিতে শুরু করেছে দেশজুড়ে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। মঙ্গলবারও মহারাষ্ট্রে ২৮ হাজার ৬৯৯ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে সেরাজ্যে ১৩ হাজার ৬১৫ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৬ জন। এঁর মধ্যে ২২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৯৫ জনই করোনামুক্ত হয়েছেন। গত রবিবার মহারাষ্ট্রে ৩০ হাজার ৫৩৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই পরিসংখ্যান সেরাজ্যে করোনা ছড়ানোর পর থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। বিশেষ করে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বিপজ্জনক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। করোনার সংক্রমণে লাগাম পরাতে তাই মঙ্গলবারই রাজ্যগুলির জন্য একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, করোনা রোগী চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াটি দ্রুত গতিতে সারতে হবে। সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের জন্য জারি করা নতুন গাইডলাইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে আরও কড়া অবস্থান নিতে হবে।
প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, আরটিপিসিআর টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে কোনও এলাকায় সংক্রমিতের খোঁজ মিললে দ্রুত তাঁকে চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখতে হবে। সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও দ্রুত চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি বাড়ানোর পাশাপাশি কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির ব্যাপারে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।
কোনও এলাকা কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়লে দ্রুত ওয়েবসাইটে সেব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিতে হবে। নাগরিকরা বাড়ির বাইরে পা রাখলে মাস্ক পরছেন কিনা সেব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে প্রশাসনকে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে গোটা দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া নির্দেশিকা বলবৎ হবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে রাজ্যগুলিকে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.