বিজেপির অভিযোগ
নির্বাচন কমিশনে বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ কলকাতায় বসেই রাজ্য পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। ভোটের সময়ও তিনি সেই একই কাজ করেছেন আগেও। প্রসঙ্গত রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে ১ জুন, ২০১৮-তে তাঁকে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে বসানো হয়।
নির্দেশিকা জারি মুখ্যসচিবের
এদিন শিলিগুড়িতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানেই মুখ্যসচিবকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের কাজ কী। মুখ্যসচিবের উত্তরে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। সেখানেই সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর মুখ্যসচিব নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করেন। সেখানে বলা হয়েছে নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে থাকলেও, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে ব্যবহার করা যাবে না।
এর আগে সরানো হয় ডিজিপিকে
দিন কয়েক আগে সরানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিপিকে। আইপিএস বীরেন্দ্রের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। যার জেরেই অপসারণ। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল ভোটের কোনও কাজে বীরেন্দ্রকে ব্যবহার করা যাবে না। বদলে নতুন ডিজিপি করা হয় নীরজন নয়ন পাণ্ডেকে। যা নিয়ে সৌগত রায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বিজেপি যা চায় তাই করছে নির্বাচন কমিশন।
সরানো হয়েছিল এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে
বাংলায় নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছিল এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমকে। তাঁর জায়গায় আনা হয় ফায়ার ব্রিগেডের ডিজি জগমোহনকে। বেশ কিছুদিন আগে জ্ঞানবন্ত সিংকে সরিয়ে এডিজি আইনশৃঙ্খলার পদে বসানো হয়েছিল জাভেদ শামিমকে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাষ করেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।