ওয়াশিংটন: মঙ্গলে কি মানুষ থাকে? বিজ্ঞানীরা এখনও এ নিয়ে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ দিতে না পারলেও মঙ্গলে মানুষের বসতি নিয়ে কিন্তু তীব্র কৌতূহল পৃথিবীবাসীদের। আর এই ধারণা থেকেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে একটি ভিডিও।

ভিডিওটি অবশ্য কোনও বিজ্ঞানী বা মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তৈরি করা ভিডিও নয়। ভিডিওটি তৈরি করেছেন টিকটকাররা। তাঁদের দাবী মঙ্গলে এক সময় মানুষের বসতি ছিল। তাহলে কীভাবে সেই বসতি ধ্বংস হল? এরও এক আজব ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাঁরা। এক টিকটক ব্যবহারকারীর বক্তব্য, নিউক্লিয়ার যুদ্ধের ফলে মঙ্গল থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে প্রাণের চিহ্ন। টিকটকের এই ভিডিও এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। টিকটকের ‘crackheadjoedirt’ অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে ভিডিওটি। সোমবার পর্যন্ত এই ভিডিওর লাইক ছিল ২ লক্ষ ৩০ হাজার। ভিউ হয়েছে ১০ হাজার বার। প্রতি মুহূর্তে এই ভিডিওর ভিউয়ার্স সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

শুধু মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল, এটুকু মত জাহির করেই থাকেননি ওই টিকটকার। তাঁর মতে মঙ্গলের রং যে এখন লাল, অতীতে নাকি তাও ছিল না। ওই টিকটকারের দাবী মঙ্গলে একসময় জল ছিল। এমনকী প্রাকৃতিক সম্পদও ছিল। তখন মঙ্গল লাল ছিল না। কীভাবে এই গ্রহ লাল রং ধারণ করল? তাঁর মতে মঙ্গলে নিউক্লিয়ার শীত তৈরি হয়েছিল। গ্রহে একটি পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তারপরই মঙ্গলের ভূ-পৃষ্ঠ ঢেকে যায় ছাইয়ে। সেই ছাই এতটাই পুরু ছিল যে তা ভেদ করে সূর্যরশ্মিও ঢুকতে পারত না। ফলে নিউক্লিয়ার শীতে প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়। গ্রহ ধুলোয় ঢেকে যায়। আর তার ফলে মঙ্গল লাল গ্রহে পরিণত হয়। তিনি ভিডিওয় বলেছেন, “আমার থিওরি হল আমরা মঙ্গল থেকেই এসেছি। নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করে আমরা এখানে চলে এসেছি।”

যদিও এই ভিডিওর মধ্যে যে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই মজাদার টিকটকারের ততোধিক মজাদার থিয়োরি শুনে নেটিজেনরা বেশ উচ্ছ্বসিত। দৈনন্দিন সিরিয়াসনেস আর একঘেয়েমির মাঝে যদি এইটুকু হাস্যরসের স্বাদ পাওয়া যায়, ক্ষতি কী?

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।