'আর' ফ্যাক্টর কী
'আর' ফ্যাক্টর আদতে পরিসংখ্যানের মাধ্যমে যেকোনও সংক্রমণের বৃদ্ধির হারকে নজরে রাখা। এর সাহায্যে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ভারতে করোনার 'আর' ফ্যাক্টর বা রিপ্রোডাকশন রেট একলাফে বেড়ে ১.৩২ হয়ে গিয়েছে। 'আর' ফ্যাক্টর কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে গেলে একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। যদি 'আর' ফ্যাক্টর ২ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে, একজন সংক্রমিত ব্যক্তি আরও দুই জনকে সংক্রমিত করবেন।
গত সপ্তাহে প্রায় ৬৭ শতাংশ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে
এর আগে সেপ্টেম্বরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৯০ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়েছিল। সেখান থেকে ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক সংক্রমণের হার নেমে গিয়েছিল ১০ হাজারে। তবে সেই হার ফের ঊর্ধ্বমুখী। গত তিনদিন ধরেই দৈনিক সংক্রমণের হার ৪০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহে প্রায় ৬৭ শতাংশ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
১৫ থেকে ২১ এপ্রিল ২.৬ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে দেশে
পরিসংখ্যান বলছে, গত সোমবার থেকে রবিবারের মধ্য়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লাক্ষেরও বেশি মানুষ৷ মৃতের সংখ্য়াও বেড়েছে গত সপ্তাহে৷ আগের সপ্তাহ থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ুর সংখ্য়া ৪১ শতাংশ বেড়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, মার্চের ১৫ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত মোট ২.৬ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন৷
বেশ কয়েকটি জায়গায় নাইট কার্ফু চালু হয়েছে
গত সপ্তাহে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ১.৫৫ লক্ষ৷ এর আগে গত বছর জুলাই মাসের ২০ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছিল৷ সেসময় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৩৪ শতাংশ৷ এদিকে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু রাজ্য়ের তরফে নাইট কার্ফু চালু করা হয়েছে৷ কেন্দ্রের তরফেও কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে বলা হয়েছে৷