বর্ধমান(পূর্ব বর্ধমান): বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের অন্যতম আলোচিত তথা কনিষ্ঠতম প্রার্থী পৃথা তা। তিনি বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী। নিজের শহরে বিস্ফোরণে মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন। বলেছেন, তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগান নয় এটা আসলেই খেলা হচ্ছে।
সোমবার বোমা বিস্ফোরণের পর থমথমে বর্ধমানের রসিকপুর এলাকা। আতঙ্কে এলাকাবাসীরা। দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। সোমবার এই এলাকায় বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে দুই শিশু মারাত্মক জখম হয়। তাদের একজন আফরোজ মারা গিয়েছে। অন্যজন ইব্রাহিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিআইডি টিম। জায়গাটি ঘুরে দেখেন তাঁরা।
এলাকাবাসী চাইছেন দোষীদের দ্রুত খুঁজে বার করুক পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি জানিয়েছেন, হাঁড়ি বা ছোট কলসীর মত কোনও বস্তুতে একটা বোমা রাখা ছিল। সেটাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে একটি ছেলে মারা গেছে। অন্য একটি ছেলে আহত হয়েছে।’
মঙ্গলবার বাম প্রার্থী পৃথা তা এলাকায় যাওয়ার পর রাজনৈতিক মহল সরগরম। অভিযোগ, সিপিআইএম এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে। পৃথা জানিয়েছেন, ‘ তৃণমূল বলছে খেলা হবে এবারের ভোটে। খেলা যে কীরকম তার নমুনা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন।
রসিকপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে নিশানা করেছেন পৃথা তা।সিপিআইএম প্রার্থীর আরও অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপির নেতারা দলবদল করে নিজেদের দুর্নীতি লুকিয়ে রাখতে ততপর। বালি মাফিয়া রাজের ফলে দুষ্কৃতিদের আখড়া হচ্ছে বর্ধমান। এই দুষ্কৃতিদের রাখা বোমা ফেটে মারা গিয়েছে ওই শিশু। এটাই এখন রাজনীতির খেলা।
রসিকপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় পৃথা যে ভাবে দুই প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করেছেন, তাতে জেলা রাজনৈতিক মহল সরগরম। এদিকে বিস্ফোরণের এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সতপ্রনদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.