নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চোখ রাঙাচ্ছে দেশজুড়ে। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এই আবহেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সেই আশঙ্কা করেই এবার কড়া অবস্থান নির্বাচন কমিশনের। করোনার সংক্রমণ রুখতে এবার কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটমুখী প্রতিটি রাজ্যে কমিশনের এই নির্দেশিকা বলবৎ থাকবে।
করোনার সংক্রমণ রুখতে ভোটমুখী সব রাজ্যে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার ব্যাপারে কড়া নির্দেশিকা কমিশনের। করোনা বিধি না মানলে বুথে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে কমিশন। বুথে ঢুকতে গেলে পরতেই হবে মাস্ক। শুধু তাই নয় ডান হাতে গ্লাভস পরে বুথে ঢুকতে হবে প্রত্যেককে। সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে কমিশনের এই নির্দেশিকা নাম মানলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কাউকে অংশ নিতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করেছে কমিশন। বুথের কর্মীদের এব্যাপারে তৎপর হতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপজ্জনক আকার নিতে শুরু করেছে। দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। বিশেষ করে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বিপজ্জনক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তাদের। করোনার সংক্রমণে লাগাম পরাতে তাই রাজ্যগুলির জন্য এদিনই একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিটি রাজ্যকে এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনও ভোটকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেব্যাপারে তৎপরতা নিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভোটমুখী প্রতিটি রাজ্যেই বুথের বাইরে রাখা হবে স্যানিটাইজার। বুথে ডোকার আগে গ্লাভসের ব্যবস্থা করবে কমিশন। ভো দেওয়ার পর বুথের বাইরে থাকা নির্দিষ্ট পাত্রে ব্যবহার করা সেই মাস্তক ফেলে দিতে হবে। বুতে ঢোকার আগে প্রত্যেকেরই দেহের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা থাকবে। যাঁদের দেহের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির বেশি হবে তাঁদের অন্যদের সঙ্গে ভোট দিতে দেওয়া হবে না।
শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির বেশি থাকলে তাঁরা বিকেল ৫টা থেকে ৬.৩০ পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন। করোনা আক্রান্ত ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে আগে থেকে কমিশনের কাছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চেয়ে আবেদন জানাতে হবে।এরই পাশাপাশি শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.