সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : বামেদের হল্লা গাড়ি ইতিমধ্যেই সারা ফেলেছে এবার তারা নিয়ে এসেছে বিকল্পের প্রচার গাড়ি। টালিগঞ্জ এলাকায় ঘোরাফেরা করছে এই গাড়ি। বিপক্ষের হর এক কিসমের না করা কাজ যেগুলি তারা করবেন বলে তাদের ম্যানিফিয়েসটো জানিয়েছেন, সেগুলিই হ্যাঙ্গারে করে টাঙিয়ে তারা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন।

অনেকটা পাড়ায় পাড়ায় প্লাস্টিকের জিনিস বিক্রির হকারের মতো সাজানো হয়েছে গাড়িটি। আর তা নিয়েই বেরিয়ে পড়েছেন টালিগঞ্জ এলাকার বাম কর্মী সমর্থকরা। একেই ওঁরা বলছেন, বিকল্পের প্রচার গাড়ি। গাড়িতে একটি রেকর্ড চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই রেকর্ড বলছে , ‘ও মাসিমা, ভোট দেবেন কি না দেবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু দেখাশোনা একদম বিনামূল্যে। তাই দেখে যান আমাদের এই বিকল্প ইশতেহার। আমাদের এই প্রচার গাড়িতে।’

বামেরা বলছেন, ‘এটি তাদের ইশতেহার, যা তারা ক্ষমতায় এলে করে দেখাবেন। ইশতেহারে বার্তা যদি সবার কাছে না পৌঁছে গিয়ে থাকে তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই বিকল্পের প্রচার গাড়ি বেরিয়েছে।’ বিকল্পের কেন? তৃণমূল ও বিজেপির বিকল্প বামেরাই। এমনটাই তাঁরা দাবী করছেন।

বিকল্প বলে যারা নিজেদেরকে দাবী করছেন, তাঁরা কোন কোন কাজ করবেন? বলা হচ্ছে , ফসলের ন্যায্য দাম দেওয়া হবে কৃষকদের, রোখা হবে ধর্মীয় বিদ্বেষ, সমস্ত শুন্যপদে নিয়োগ হবে, মহিলাদের নিরাপত্তায় বেশি নজর দেওয়া হবে,প্রতি বছর টেট এসএসসি হবে, কারখানা হবে। এটাই বিকল্প ইশতেহার এবং সেটা নিয়েই তাঁরা টালিগঞ্জের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন বিকল্পের প্রচার গাড়ি নিয়ে। মূলত টালিগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বাম প্রার্থী দেবদূত ঘোষের প্রচারের জন্য ঘুরছে এই গাড়ি।

এই গাড়ি দেখে প্রথমে অনেকেই চমকালের। তারপর বিষয় বুঝে অনেকেই ভালো করে দেখলেন গাড়িকে। প্রসঙ্গত, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বামেদের বক্তব্য নিয়ে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে তাদের ‘হল্লা গাড়ি’কেও। তারা জানিয়েছেন, ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে রাস্তায় যে ভাবে নৃত্যনাট্য দেখা গিয়েছিল, সেই ‘ফ্ল্যাশ মব’-এরই আর এক রূপ এই ‘হল্লা গাড়ি’। আপাতত শহরাঞ্চলে কিছু উল্লেখযোগ্য জায়গা বেছে নিয়ে তরুণ-তরুণীরা ‘হল্লা গাড়ি’ নিয়ে যাচ্ছেন। কলকাতায় কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের উৎসাহ দিতে হাজির থাকছেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র। এর পরে এমন আরও কিছু অভিনব প্রচার রাজ্যের অন্যত্রও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।