পুণে: ভাই হার্দিক পান্ডিয়ার কাছ থেকে ওয়ান ডে ক্যাপটা হাতে নিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন৷ ব্যাট করতে নেমে বিশ্বরেকর্ড গড়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া৷ ওয়ান ডে অভিষেকে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির মালিক হলেন ভারতীয় এই অল-রাউন্ডার৷
একেই বলে স্বপ্নের অভিষেক৷ তিন বছর আগে ভারতীয় দলের জার্সিতে টি-২০ অভিষেক হয়েছিল৷ কিন্তু মঙ্গলবারই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয় ক্রুনালের৷ ম্যাচ শুরুর আগে ক্রুনাল পান্ডিয়ার হাতে ওয়ান ডে ক্যাপটা তুলে দিয়েছিলেন ভাই হার্দিক৷ ভাইয়ের হাত থেকে ক্যাপটা নিয়েই কেঁদে ফেলেছিলেন কিছুদিন আগেই বাবাকে হারানো ক্রুনাল৷ ব্যাট হাতে মাঠে নেমে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরিটা বাবা’কে উৎস্বর্গ করলেন তিনি৷
বিশ্বরেকর্ডের পর ক্রুনাল বলেন, ‘এটা আমার বাবা’র জন্য৷ আমি অত্যন্ত আবেগঘন হয়ে পড়েছি৷’ তারপর চোখে জল মোছেন টিম ইন্ডিয়ার এই অল-রাউন্ডার৷ ইনিংসের বিরতিতে সাক্ষাৎকারে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি চলতি বছরের শুরুতে বাবাকে হারানো ক্রুনাল৷
ওয়ান ডে অভিষেকই মাত্র ২৬ বলেই হাফ-সেঞ্চুরি করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন ক্রুনাল৷ ওয়ান ডে অভিষেকে এটাই সবচেয়ে কম বলে ফিফটি৷ একই সঙ্গে ১৫তম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ান ডে অভিষেকে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন ক্রুনাল৷ পাশাপাশি ২০১৬ সালে ফয়াজ ফজলের পর এই নজির গড়েন তিনি৷ এদিন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩১ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন ক্রুনাল৷ তাতেও নজির গড়েন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলা এই অল-রাউন্ডারের৷ ক্রুনালের আগে ভারতীয় দু’জন সাত নম্বরে নেমে অভিষেকে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন৷ এঁরা হলেন প্রাক্তন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সাবা করিম ও টিম ইন্ডিয়ার অল-রাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা৷
ভাই হার্দিক আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন ক্রুনাল৷ বাকিটা ইতিহাস৷ ষষ্ঠ উইকেটে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে মাত্র ৬১ বলে ১১২ রানের অবিভক্ত পার্টনারশিপে ভারতকে ৩১৭ রানে পৌঁছে দেন তিনি৷ মাত্র ৩১ বলে দু’টি ছয় ও সাতটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন ক্রুনাল৷ আর ৪৩ বলে চারটি চার ও চারটি ছক্ক-সহ ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.