বিজেপিকে নিয়ে কোন ভাবনা প্রশান্তের?
প্রসঙ্গত, সংবাদমাধ্যম 'দ্য টেলিগ্রাফ'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর কার্যত মেনে নেন যে বিজেপি বাংলায় 'পদার্পণ' করেছে। তবে তাঁর বক্তব্য ,বিজেপি যত বড়ই শক্তিধর পার্টি হোক না কেন, তারা হারবে। তবে একই সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর জানিয়ে রেখেছেন, হেরে গেলও বিজেপি শক্তিধর থেকে যাবে। তবে দিদির সামনে তাদের দাঁড়ানো সম্ভব হবে না।
মমতা বনাম বিজেপির লড়াই
প্রশান্ত কিশোর বলছেন , বিজেপির চেষ্টা ছিল তৃণমূলকে ভেঙে দেওয়ার। আর এই চেষ্টায় বিজেপি এখনও উদ্যোগী। তবে প্রশান্ত কিশোর একই সঙ্গে বলছেন, দিদি বা দিদির চিন্তা ধারার সঙ্গে বিজেপি এখনও লড়াই করে উঠতে পারেনি। আর এই জায়গা থেকেই বিজেপি এই ভোটে পিছিয়ে থাকতে পারে বলে মত প্রশান্ত কিশোরের।
তৃণমূলের ভোট শেয়ার ও প্রশান্ত
প্রশান্ত কিশোরের দাবি, এবারের ভোটে তৃণমূল শুধু জিতবেই না, তারসঙ্গে ভোট শেয়ার বাড়বে। প্রশান্ত বলছেন, ৪৪ শতাংশ ভোট শেয়ার বিজেপির প্রয়োজন যদি তাদের এই বিধানসভা নির্বাচন জিততে হয়। আর তা করতে গেলে, লোকসভার ভোটে তাদের ভোট শেয়ার বাংলায় যা ছিল তার থেকে বাড়াতে হবে।
বিজেপির ভোট শেয়ার নিয়ে প্রশান্তের দাবি
প্রশান্ত কিশোরের বিশ্লেষণ বলছে, ত্রিপুরা আর হরিয়ানা ছাড়া বাকি সমস্ত জায়গাতেই বিজেপি নিজের লোকসভা ভোটের থেকে বিধানসভা ভোটে ভোট শেয়ার বাড়াতে পারেনি। আর সেই জায়গা থেকে এবারে বাংলার ভোটে বিজেপি এগিয়ে থাকতে পারবে না বলে মত প্রশান্তের।
কোন দুটি ফ্যাক্টর তৃণমূলকে মাইলেজ দেবে?
মূলত প্রশান্ত কিশোরের দাবি, এখনও পর্যন্ত বাংলায় মমতার যা জনপ্রিয়তা তার ধারে কাছে নেই কোনও অন্য নেতা। সেই জায়গা থেকে তৃণমূলের কাছে একটি বাড়তি অ্যাডভান্টেজ রয়েছে। অন্যদিকে, প্রাথমিক ভাঙন কাটিয়ে উঠে তৃণমূল নিজের ঘর সুষ্ঠুভাবে গুছিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপিকে মাত দিতে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কোন কোন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তাও নিয়েছে তৃণমূল। যার নেপথ্য নায়ক প্রশান্ত কিশোর। আর এই শক্তিতেই ভর দিয়ে বিজেপিকে মাত দেওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। দাবিব মমতার ভোট স্ট্র্যাটেজিস্টের।