কাঁথি: হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। দল ছেড়ে বিজেপি হওয়ার পর আরও মুখ খুলছেন শিশির অধিকারী। এদিকে তৃণমূল তৈরি জবাব দিতে। ফলে ছেড়ে আসা দলের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন কাঁথির সাংসদ।

ছেলে শুভেন্দুর পর পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। সোমবার রাতে কাঁথিতে প্রথম বিজেপির হয়ে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। উত্তর কাঁথি এলাকার কাঁকগেছিয়া এলাকায় বিজেপির হয়ে সভা করার কথা ছিল শিশিরাবুর। আর সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। শিশির অধিকারীকে ঘিরে ধরে ‘চিটিংবাজ’ স্লোগান দিতেও শুরু করেন তারা।

কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে বিজেপি বিরাট রাজনৈতিক দৌড় শিশির অধিকারীর। দীর্ঘদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিশির অধিকারী। গত লোকসভা নির্বাচনের পর দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে অধিকারী পরিবারের। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ, বিজেপি তে যোগদানের পর থেকেই পিতা শিশির অধিকারী বলছিলেন ছেলে যা বলবে তাই করব। ছেলের কথা শুনেই তিনি বিজেপি তে এসেছেন।

রবিবার অমিত শাহের সভায় যোগদান করার পর সোমবার প্রথম বিজেপির হয়ে প্রচারে বের হন শিশির অধিকারী। উত্তর কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিনহার হয়ে কাঁকগেছিয়া এলাকায় সভা করার কথা ছিল শিশির অধিকারীর। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শিশিরবাবু সোমবার সভাস্থলের কাছে পৌঁছানো মাত্রই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। শিশিরবাবুর সামনেই বক্স বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য শুরু করে দেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।

এবং জেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। টর্চ লাইট জ্বালিয়ে অন্ধকারের মধ্যে তৃণমূলের কর্মীদের চেনার চেষ্টা করেন শিশির অধিকারী। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায়। দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে আহত হন বিজেপির ৩ সদস্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও এগরা থানার পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা পর ওই স্থান ছেড়ে ফিরে যায় শিশির অধিকারী।

শিশির অধিকারী বলেন, “সকাল থেকে কিছুজনকে মদ খাইয়ে আমাদের সভা পন্ড করার চেষ্টা করছে। আমি আগেও এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি সকলের নাম ও ছবি তুলে নিয়েছি। অভিযোগ জানাবো।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।