তুঙ্গে তরজা, তবু চুক্তি নিয়ে লগ্নিকারীর সঙ্গে তিক্ততা সমাধানে আশাবাদী এসসি ইস্টবেঙ্গল

তিক্ততা কাটিয়ে নতুন চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে আশাবাদী এসসি ইস্টবেঙ্গল ও বিনিয়োগকারী সংস্থা। যদিও সমস্যার সমাধান যে এত দ্রুত হওয়া সম্ভব নয়, তাও মনে করা হচ্ছে। যে যে বিষয় নিয়ে বিতর্ক, তা নিয়ে কোনও পক্ষই একে অপরকে এক ইঞ্চি জায়গা দিতে রাজি নয় বলে জানানো হয়েছে। দুই পক্ষই একে অপরের বক্সে বল ঠেলে দায় এড়িয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার কলকাতার এক হোটেলে ইস্টবেঙ্গলের প্রয়াত কর্তা পল্টু দাসের স্মরণ সভাতেও দল এবং বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। চিঠি প্রেরণ নিয়ে দাবি এবং পাল্টা দাবি চলতে থাকে এদিন। বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তা জানান যে গত অক্টোবরেই ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে নতুন চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা সই করে আসেনি বলে দাবি করা হয়েছে। উল্টো দাবি করা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে। ক্লাব কর্তার দাবি যে তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র এসে পৌঁছোয়নি। বিনিয়োগকারী সংস্থার যে প্রতিনিধি এমন দাবি করেছেন, তাঁকে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তা জানাতে বলেছেন ওই লাল-হলুদ কর্তা।

ওদিকে ইস্টবেঙ্গলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে বিনিয়োগকারী সংস্থার টার্ম শিট বা খসড়া এবং চুক্তিপত্রের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। চুক্তির মেয়াদ শেষে ছাড়াছাড়ির সময় কেন বিনিয়োগকারীদে অর্থ দিতে হবে, তা বুঝেই উঠতে পারছেন না লাল-হলুদ কর্তারা। সেনাবাহিনীর হওয়া সত্ত্বেও ক্লাবের জমি হস্তান্তরের জন্য লগ্নিকারী সংস্থা চাপ দিচ্ছে বলেও ইস্টবেঙ্গলের তরফে দাবি করা হয়েছে। ক্লাব কর্তা জানিয়েছেন যে ৫০ কোটি টাকায় ঐতিহ্য বিক্রি করতে তাঁরা রাজি নন।

ইস্টবেঙ্গলের তরফে এও জানানো হয়েছে যে প্রয়োজনে ক্লাবের সদস্য-সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সবার সামনেই লগ্নিকারী সংস্থার খসড়া এবং চুক্তিপত্র খুলে দেখানো হবে বলেও ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা ক্লাবের সদস্য-সমর্থকদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে বলে লাল-হলুদের তরফে জানানো হয়েছে।

ওদিকে বিনিয়োগকারী সংস্থা চায়, বিরোধ ভুলে দ্রুত চুক্তিপত্রে সই করুন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। অন্যথায় আগামী মরসুমের জন্য দল নির্বাচনে দেরি হয়ে যাবে বলেও লগ্নিকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। বিতর্কের দ্রুত নিষ্পত্তি চান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ডামাডোলে কেটে যাওয়া গত মরসুমের পারফরম্যান্স ভুলে এবার নতুন করে শুরু করার পক্ষপাতি দেবব্রত সরকাররা।

More EAST BENGAL News