মেয়েদের চরিত্রের বিচার যদি তাঁর পোশাকের লেন্থ দিয়ে হয় তবে তা ভারী নিন্দার ও মুশকিলের বিষয়। আর তা আরও জটিল হয়ে যায় যদি সে বিচার করে কোনো রাজনৈতিক নেতা। তাও আবার কিনা যে বিনোদন জগতের পার্ট। যেখানে চতৃরের তাগিদে অভিনেতা অভিনেত্রীদের বিভিন্ন পোশাক পড়তে হয়।

তবে শুধু বিনোদন জগৎ বলে নয় ,সমাজের কোনো ক্ষেত্রে কোনোভাবেই কেউ কোনো নারীর বিচার তাঁর অপশাল দিয়ে করতে পারে না। স্বাধীনতার এতো বছর পরে এসেও ২০২১এ দাঁড়িয়ে যদি মহিলাদের ওপর পুরুষশাসিত মানসিকতা চাপানোর চেষ্টা করা হয় তবে তা অবশ্য নিন্দনীয়।

কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিং রাওয়াতের মেয়েদের ছেঁড়া জিনস পরা এবং ছোট পোশাক পরে হাঁটু দেখানোর কুরুচিশীল মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল সাইটে কম কাটাছেঁড়া হয়নি। মেয়েদের ছেঁড়া জিনস পরা নিয়ে শালীনতার পাঠ দিতে গিয়ে তীব্র নিন্দার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী দেরাদুনে স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস আয়োজিত একটি ওয়ার্কশপে গিয়ে বলেন, যে সব মেয়েরা ছেঁড়া জিনস পরে, তাঁরা বাড়িতে ছেলে মেয়েদের সঠিক পরিবেশ দিতে পারে না । তিরথের কথায়,‘ছেঁড়া ডেনিম পরছেন, হাঁটু দেখা যাচ্ছে, এই মূল্যবোধই দেওয়া হচ্ছে এখন। কোথায় থেকে শেখানো হচ্ছে এসব? স্কুল বা শিক্ষকদের কী কোনও ভুল রয়েছে?

আমরা ছেলেকে ছেঁড়া জিনস পরিয়ে কোথায় নিয়ে চলেছি তাকে? মেয়েরাও ছেঁড়া জিনস পরছে। এটা কি ভালো? সকলে পশ্চিমী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে দৌড়চ্ছেন। যেখানে পশ্চিমী দেশগুলো আমাদের যোগাসনকে অনুসরণ করছেন, সেখানে কেন ভারতীয়রা ছেঁড়া জিনস পরছেন?’

এর পালটা জবাবে বচ্চনের নাতনি, নভ্যা নাভেলি নন্দা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন- ‘তোমার মানসিকতা বদলানো উচিত মেয়েদের পোশাক বদলের পরামর্শ দেওয়ার আগে। কারণ একমাত্র চমকে যাওয়ার মতো বিষয় হল এই ধরণের মন্তব্য যা সমাজকে দেওয়া হচ্ছে। ভাবতে পারছি না…. ’। সঙ্গে তিরথ সিং রাওয়াতের মন্তব্যের একটি অংশ উদ্ধৃত করেন নভ্যা।সঙ্গে ইনস্টা স্টোরিতে নিজে ছেঁড়া বা টর্নড জিনস পরা একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি ছেঁড়া জিনস পরি, এবং ধন্যবাদ… খুব গর্বের সঙ্গে আমি ছেঁড়া জিনস পরি’।

এবার মহিলাদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কের শিরোনামে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। নারী পোশাক নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন তিনি।পোশাক নিয়ে মহিলাদের সচেতন করে, কোথায় কী পোশাক পরতে হবে, তাই নিয়ে মন্তব্য করেছেন অভিনেতা বিধায়ক।আট বছর আগে তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন, মহিলাদের ছোট পোশাক ‘ধর্ষণ’ এবং ‘ইভটিজিং’-এর মতো ঘটনায় ইন্ধন জোগায়। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছি। মেয়েদের ড্রেসকোড বেঁধে দেওয়ার স্পর্ধা তিনি কী ভাবে দেখাতে পারেন?

তাঁর কেন্দ্র বারাসতে চিরঞ্জিতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এত বছর কি সেই জায়গা থেকে তিনি সরে এসেছেন? জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘ড্রেসকোড বেঁধে দিইনি। শুধু পরামর্শ দিয়েছিলাম। আজও একই কথা বলব। আমার মনে হয়, জায়গা বুঝে পোশাক বাছাই করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

ডিস্কোতে যাওয়ার পোশাক আর ভিড় ট্রেনে ওঠার পোশাক এক নয়। আবার শ্রাদ্ধ বাড়িতে যাওয়ার পোশাক আলাদা। মহিলাদের পোশাক সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।’ অনেকেই দারি করেছেন, তীরথ সিং রাওয়াতের মানসিকতার সঙ্গে চিরঞ্জিতের মানসিকতার কোনও পার্থক্য নেই।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।