৭ মার্চ বিজেপিতে যোগদান
একটা সময়ে তিনি ছিলেন প্রয়াত সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর খুব কাছের। জ্যোতিব বসুকেও পছন্দ করতেন তিনি। ২০০৯ সালের পরে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পরে রাজ্য থেকে তৃণমূলের টিকিটে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বছর দুয়েক যেতে না যেতেই রাজ্যসভার সদস্য পদে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর কোনও সময় তাঁকে পাওয়া গিয়েছে আরএসএস-এর সদর দফতরে কিংবা আরএসএস-এর কর্তাকে দেখা গিয়েছে তাঁর বাড়িতে। ৭ মার্চ তিনি ব্রিগেডে বিজেপির সভায় গেরুয়া শিবিরে সরকারিভাবে যোগদান করেন। সাধারণভাবে প্রধানমন্ত্রীর সভায় কোনও যোগদান করানো না হলেও, যেহেতু নামটি মিঠুন, তাই সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত হলে তাঁকে উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন মিঠুন।
প্রার্থী তালিকায় নেই মিঠুনের নাম
বিজেপিতে যোগ দেওয়া পরে মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছিলন, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না। তবে প্রচারে অংশ নেবেন। তবে এরই মধ্যে কাশীপুর-বেলগাছিয়া থেকে তাঁর নাম জল্পনায় উড়তে থাকে। কেননা মিঠুন চক্রবর্তী এই এলাকার ভোটার হয়েছে। যদিও এদিন সকালে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শিবাজী সিংহ রায়ের নাম ঘোষণা করা হয়।
মিঠুন নামবেন শুভেন্দুর প্রচারে
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁর হয়ে প্রচারে নামবেন মিঠুন চক্রবর্তী। নন্দীগ্রামে ভোট ১ এপ্রিল। তাঁর আগে ৩০ মার্চ টেঙ্গুয়া মাড় থেকে নন্দীগ্রাম বাজার পর্যন্ত রোড শো-এ থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে মিঠুন জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান।
জঙ্গলমহল থেকে প্রচার শুরু মিঠুনের
তবে জঙ্গলমহল থেকে এবারের নির্বাচনে প্রচার শুরু করতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ২৭ মার্চ জঙ্গলমহলে ভোট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তার আগে বৃহস্পতিবার প্রথমে তিনি যাবেন শালতোড়ায়। এরপর পুরুলিয়ার মানবাজার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারিতে বিজেপির কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মহাগুরু।