লন্ডন: ক্রিকেটে ভবিষ্যদ্বাণী যদি কোনও শিল্প হয়ে থাকে, তাহলে মাইকেল ভন তাতে পাবলো পিকাসো। কথাটা শুনে মনে হতেই পারে প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক বুঝি ক্রিকেট নিয়ে খুব ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন। কিন্তু না, বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। তিনি তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে যে সবসময় সফল তেমনটা নন। তবে ঠিক হোক বা ভুল, ভবিষ্যদ্বাণী করতে বেজায় ভালোবাসেন ভন।

টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে রুটরা টিম ইন্ডিয়াকে গো-হারা হারানোর পর ভন আওয়াজ তুলেছিলেন ভারতের নাকি হোয়াইটওয়াশ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যাইহোক শেষ অবধি ভনের মতো একাধিক ক্রিকেট বিশ্লেষকের মুখে চুনকালি দিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন বিরাটরা। আবার সেক্ষেত্রে চেন্নাই এবং আমদাবাদের পিচে খুঁত খুঁজে সুর চড়িয়েছিলেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক। মঙ্গলবার ভারত-ইংল্যান্ড ওডিআই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ফের একবার নিজের প্রেডিকশন জানালেন ভন।

ভন জানালেন ওডিআই সিরিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নাকি হোয়াইটওয়াশ করবে টিম ইন্ডিয়া। হঠাৎ শুনে মনে হতেই পারে টেস্ট এবং টি২০ সিরিজে দেশের খেলায় বীতশ্রদ্ধ ভন কোহলিদের এই সিরিজে এগিয়ে রাখতে চাইছেন। কিন্তু আসল বিষয়টা হল ভনের এই প্রেডিকশনেও মিশে রয়েছে কটাক্ষের গন্ধ। অ্যাশেজ জয়ী ইংরেজ অধিনায়ক সোমবার একটি টুইটে লেখেন, ‘সাত তাড়াতাড়ি ওয়ান-ডে সিরিজের ভবিষ্যদ্বাণী করে ফেললাম। ভারত ৩-০ জিতবে। কারণ ইংল্যান্ড দলে রুট, আর্চার নেই।’

অর্থাৎ, রুট-আর্চারহীন ইংল্যান্ডকে ভারতের তুলনায় কমজোরি প্রমাণ করতে চেয়েছেন ভন। তবে এক্ষেত্রে পাড় পাননি তিনি। ভনকে তাঁর টুইটের পালটা কড়ায়-গন্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছেন আকাশ চোপড়া। প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটারকে ভারতের প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার তথা ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় শিবিরেও শামি, বুমরাহ কিংবা জাদেজারা কিন্তু নেই।

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া সফরে চোট পাওয়া মহম্মদ শামি কিংবা রবীন্দ্র জাদেজা এখনও বাইশ গজে ফেরেননি। আর বুমরাহ সম্প্রতি বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে ছাড়াই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ওডিআই স্কোয়াড ঘোষিত হয়েছিল। অন্যদিকে, রোটেশন পলিসির জেরে জো রুটকে হোয়াইট বল ফর্ম্যাটে বিশ্রাম দিয়েছে ইংল্যান্ড। আর জোফ্রা আর্চার সম্প্রতি কনুইয়ের চোটে ওডিআই সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।