নয়াদিল্লি: এবার ইনজেকশন নয়, সরাসরি ক্যাপসুলের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যাবে করোনা। বিশ্বের একাধিক ওষুধের কোম্পানি এবার এই তোড়জোড় শুরু করেছে। ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা প্রেমাস বায়োটেকও এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে।

আমেরিকার কোম্পানি ওরামেড ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার ক্যাপসুল বানানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রেমাস বায়োটেক। গত ১৯ মার্চ এই ক্যাপসুলের কথা ঘোষণা করেছে দুই সংস্থা। তাদের তরফে দাবী করা হয়েছে একটি সিঙ্গল ডোজ নেওয়ার পর এর কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই ক্যাপসুলের নাম রাখা হয়েছে ওরাভ্যাক্স। এর একটি ক্যাপসুল পশুদের উপর পাইলড স্টাডি করা হয়েছিল। ওরাভ্য়াক্স ওরাল ভ্যাকসিন নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডিস ও অনাক্রম্যতা তৈরি করতে যে সক্ষম পশুদের উপর পরীক্ষায় তা জানা গিয়েছে।

প্রেমাসের প্রোটিন বেসড VLP (ভাইরাস লাইক প্র্যাকটিস) ভ্যাকসিন SARS CoV-2 ভাইরাসের উপর তিনটি সুরক্ষা তৈরি করে। স্পাইক এস, মেমব্রেন এম ও এনভেলপ ই (কিন্তু নিউক্লোক্যাপসিড এন অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে গিয়ে নয়)। পশুদের উপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষার ফলাফল খুব শীঘ্রই প্রকাশ্যে আনা হবে। এটি ছাড়া ভারত বায়োটেক করোনার ভ্যাকসিনের নাসাল ফর্মও আনছে। ইউনিভার্সিটি অফ উইসপনসিনের সঙ্গে যৌথভাবে এই উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। এর ট্রায়াল ইতিমধ্য়েই শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মানব শরীরের উপর পরীক্ষা শীঘ্রই শুরু হবে।

কিছুদিন আগে WHO-এর চিফ সায়েন্টিস্ট সৌম্যা স্বামীনাথন একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, এই বছরের শেষের দিকে ছয় থেকে আটটি নতুন টিকা ক্লিনিকাল স্টাডি শেষ করতে পারে। তারপর সেগুলি রেগুলেটারি রিভিউয়ের জন্য পাঠানো হবে।এখন যে ভ্যাকসিনগুলি পরীক্ষামূলক স্টেজে রয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে। সিঙ্গল শটের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যাতে এগুলি নাকের স্প্রের মাধ্যমে বা, মুখের মাধ্যমে বা ত্বকের প্যাচ ব্যবহারের মাধ্যমে নেওয়া যায় সেদিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এগুলি বিশেষ গ্রুপ যেমন গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায় তা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ৮০ টিরও বেশি ভ্যাকসিন মানুষের উপর পরীক্ষিত হচ্ছে। যদিও কিছু এখনও পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এটি সফল নাও হতে পারে। বাজারে যে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন রয়েছে সংস্থাগুলি সেগুলিকেই আরও আপগ্রেড করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।