নয়াদিল্লি : গগনযান প্রজেক্টের জন্য প্রশিক্ষণ শেষ। চার ভারতীয় মহাকাশচারী রাশিয়ায় যে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন, তা শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মস্কোর কাছে রাশিয়ার ভোয়োজদনি গোরোদক শহরে প্রশিক্ষণ চলছিল।
গগনযান ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান অভিযান। যার জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে চার মহাকাশচারীকে। জানানো হয়েছে, গগনযানের টেস্ট ফ্লাইট পাঠানো হবে মহাকাশে। রাশিয়ার সংবাদসংস্থা স্পুটনিক জানিয়েছে গ্যাগারিন কসমোনাট ট্রেনিং সেন্টারে চার ভারতীয় মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন রাশিয়ান স্টেট স্পেস কর্পোরেশনের প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন।
২০১৯ সালে এই প্রজেক্টের জন্য প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করেছিল নয়াদিল্লি। ইসরোর চার মহাকাশচারীকে এই প্রজেক্টের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হয়। এই বিষয়ে একটি চুক্তি হয় ২০১৯ সালের জুন মাসে। ইসরো ও রাশিন লঞ্চ সার্ভিস প্রোভাইডার গ্লাভকসমসের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় বায়ু সেনার চার পাইলট, একজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও বাকি তিনজন উইং কমান্ডারকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়।
২০২০ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ শুরু হলেও, করোনা সংক্রমণের জন্য তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গগনযান প্রজেক্টের জন্য কেন্দ্র সরকার ১০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করে। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ সালে ভারতের দ্বিতীয় মানবহীন মহাকাশ মিশনের পরেই যাত্রা শুরু করবে ভারতের স্বপ্নের গগনযান। করোনা আবহে বেশ কিছুমাস থমকে গিয়েছিল গগনযান মিশন। তবে পূর্ণ উদ্যমে আবার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরো।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, গগনযান মিশনের প্রথম মানবহীন প্রকল্প পাড়ি দেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই। দ্বিতীয় মহাকাশযান পাড়ি দেবে ২০২২-২৩ সালে। এরপরেই মহাকাশে নভোশ্চর পাঠাবে ভারত। মহাকাশে ৫-৭দিন থাকবেন মহাকাশচারীরা। ২০২২ সালের মধ্যেই গগনযান প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়ে ছিলেন, ২০২২ সালে কোনও ভারতীয় পুরুষ বা মহিলা ‘গগনযান’-এ মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ভারতের জাতীয় পতাকা মহাকাশে উড়বে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বাজেটে এই বিষয়ে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানান ভারতের গর্বের মহাকাশ মিশন গগনযান। এরই অংশ হিসাবে চারজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে রাশিয়ায় জেনেরিক স্পেস ফ্লাইটের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.