স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া : ১৭০ বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিন্ধ্যবাসিনী পুজোকে ঘিরে মেতে উঠেছে আমতার রসপুর গ্রাম। জানা গেছে, প্রতিবছর বসন্তকালে রসপুর গ্রামে সাড়ম্বরে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্যবারের মতো এবারও পুজোর মূল আকর্ষণ ‘মহিষ বলি’।
উদ্যোক্তারা জানান, তিথি মেনে নবমীর দিন অর্থাৎ সোমবার বিকাল ৪ টে ৩৫ মিনিটে মহিষ বলি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি, চারদিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয়া দশমীরে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঐতিহ্যবাহী পুজোকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো।
পুরাণ মতে, দেবী বিন্ধ্যাচলকে তাঁর আবাসরূপে বেছে নেন কংসকে প্রতারণার পরই। ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে গোকুলে নন্দপত্নী যশোদার গর্ভে জন্ম নিয়েছিল এক অপরূপ লাবণ্যবতী কন্যা। বসুদেব নিজের পুত্র কৃষ্ণকে রেখে সেই কন্যাটিকে নিয়ে আসেন মথুরার কারাগারে। তুলে দেন কংসের হাতে। কংস যখন সেই শিশুটিকে কারাগারের দেওয়ালে আছড়ে হত্যা করতে যায়, তখনই তার হাত পিছলে সেই শিশু চলে যায় শূন্যে। দেখতে দেখতে ধারণ করে অষ্টভুজা রূপ। এবং কংসকে কে বধ করবে, সে কথা জানিয়ে চলে যায় বিন্ধ্যাচলে। সেই থেকে অষ্টভুজারূপে দেবী বিন্ধ্যাচলে অবস্থান করেনএবং বিন্ধ্যাচলে বসবাস করায় বিন্ধ্যবাসিনী নামে পরিচিত হন।
আবার অন্য মতে, বিন্ধ্যবাসিনী মাতাই কৌশিকী। আদ্যাশক্তির কোশ থেকে উৎপন্ন হওয়ায় তাঁর আরেক নাম কৌশিকী। মহিষাসুর বধের পর দুর্গার তেজ থেকে তিনি আবির্ভূতা হয়েছিলেন এই পর্বত শিখরেই। মহিষাসুর বধের কথা শুম্ভ ও নিশুম্ভ জানতে পারলে তারা দেবীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে বিন্ধ্যাচলে যায়। সেখানে দেবী কৌশিকী (বিন্ধ্যবাসিনী) তাদের বধ করেন।
নবদ্বীপ রাসে এই দুটি উপাখ্যান মিলিত হয়ে বিন্ধ্যবাসিনী মাতার রূপ বর্ণিত হয়েছে। এখানে মাতা অষ্টভুজা-ত্রিনেত্রা-নীলবর্ণা। সিংহের উপর পদযুগল রেখে উপবিষ্টা। দুই পাশে দুই সখী, জয়া ও বিজয়া। অষ্টভুজা দেবী শুম্ভ ও নিশুম্ভ অসুর বিনাসে যুদ্ধরত। তবে সব জায়গায় দেবীর গাত্রবর্ণ নীল করা হয় না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.