কলকাতা: মহামারীর দরুন গোটা বিশ্ব জুড়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার একটা অন্যতম প্রভাব পড়েছে আর্থিক পরিস্থিতিতে। অনেক সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক সংস্থা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাধ্য হয়ে। শ্রমিক ছাঁটাই তো এখনো চলছে। যাঁদের চাকরি এখনও যায়নি, তারাও দোলাচলে রয়েছেন। সব থেকে বড়ো কথা মানুষ বুঝতে পারছে না যে কোন সংস্থা টিকবে বেশিদিন আর কোথায় গেলে কাজ বা আর্থিক রোজগার নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে না তাদের।

যাঁদের রিটায়ারমেন্ট এসে গিয়েছিল তাদের অনেককেই সংস্থা আগেভাগেই বাধ্য হয়ে ছাঁটাই করেছে। এতে কারুর বাড়ির লোন, কারুর সন্তানের পড়াশোনার লোন যেগুলি বাকি ছিল সেখানেও শোধ করতে গিয়ে বড়ো ধাক্কা এসেছে। এর উপর যারা এখনো পড়ছে বা সদ্য পাশ করেছে কলেজ তারাও কাজ পাওয়া নিয়ে রয়েছে মহা চিন্তায়। তাই এই পরিস্থিতিতে ঠিক কী করলে যিনি চাকরি হারিয়েছেন বা যারা সদ্য পড়া শেষ করেছে তারা ভালো থাকবেন সেটা বলা খুব মুশকিল। তবে সেখানেও একটু বুদ্ধি করে সামনে পা ফেলতে হবে।

১. প্রথমে আপনার যেটুকু সঞ্চয় করা রয়েছে সেটা সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যয় সম্পর্কে নিজেকে আরো সজাগ হতে হবে। সংসারের খরচ সামলাতে মোটামোটি না হলেই এমন খরচ বাদে বাকিটায় বেশ কম করে নিয়ে সংসার চালান। যারা এতদিন যেভাবে ইচ্ছে টাকা অপচয় করছিলেন তাদেরকেও সাবধান হতে হবে এই সময়ে যাতে নিজের ও অন্যের জন্যে তারাও জমা করতে পারে ভবিষ্যতের কথা ভেবে।

২. ছোটো ব্যবসায়ী যারা রয়েছেন বা যারা ছোট্ট দোকান কিছু খুলবেন ভাবছেন তারা চেষ্টা করতে পারেন। কারণ এখন তো নানা লোনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাদের কথা মাথায় রেখেই। আবার সেগুলিতে ইন্টারেস্ট রেট খুবই কম।

৩. এখন ফ্রিল্যান্স কাজের চাহিদা খুব বেড়েছে। অনলাইনেই কাজ করার দরুন এখন আপনি কোনো সংস্থার সিইওর সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন চাকরির জন্যে। নিজের জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভাগ্য ফেরাতে গেলেও নেটওয়ার্কিংয়ে জোর দিতে হবে আপনাকে।